মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

শিরোনাম

ইসরায়েলের মদদে ইরানে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনায় শাহর পুত্র রেজা পাহলাভি

শনিবার, জুন ১৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ইরানে চলমান অস্থিরতা ও ইসরায়েলের সামরিক হামলার পটভূমিতে ফের আলোচনায় এসেছেন দেশটির সাবেক শাহর পুত্র রেজা পাহলাভি। বিশ্লেষকদের মতে, তিনি বিদেশি মদদে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত রেজা পাহলাভি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামিক রিপাবলিকের কঠোর সমালোচক। তিনি ইরান-ইসরায়েল সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ইসরায়েল ও পশ্চিমা শক্তির একটি অংশ তাকে সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি তিনি সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীকে জনগণের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধ ইরানের জনগণের নয়, বরং খামেনি ও ইসলামী সরকারের।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অবস্থান পশ্চিমা পররাষ্ট্রনীতি ও ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। সমালোচকদের মতে, রেজা পাহলাভিতে বিদেশি বিনিয়োগ মানে ইরানে আবারও অস্থিরতা ও অভ্যুত্থান চাপিয়ে দেওয়া।

শুক্রবার ইরানে যে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, তা পারমাণবিক স্থাপনায় সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর লক্ষ্য ছিল অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ উসকে দিয়ে সরকারকে দুর্বল করা। নেতানিয়াহু সরকারের কৌশল—অসন্তুষ্ট জনতা রাস্তায় নামলে ইসলামিক সরকারের পতন ঘটতে পারে।

রেজা পাহলাভি দাবি করছেন, তার লক্ষ্য গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ইরান গঠন করা। তবে অনেক ইরানির কাছে তার পিতা মোহাম্মদ রেজা পাহলভির একনায়কতান্ত্রিক শাসনের স্মৃতি এখনও জীবন্ত। অনেকে আশঙ্কা করছেন, শাহ পরিবার ফেরত এলে আবারও স্বৈরতন্ত্রের আশঙ্কা থাকবে।

ইরান ও ইসরায়েল বর্তমানে পরস্পরের চরম শত্রু হলেও, শাহ আমলে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক, তেল সরবরাহ ও সামরিক সহযোগিতা ছিল। ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর এই সম্পর্ক ভেঙে পড়ে এবং ইরান ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন