রংপুর: ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করতে সার্চ কমিটি নয়, আইন প্রণয়ন করে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের দাবিতে মাথায় ভোট বাক্স নিয়ে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রংপুরে জেলায় পদযাত্রা করেছেন হানিফ বাংলাদেশী। এ সময় তিনি রংপুর জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
নাগরিকদের নির্বিঘ্ন পরিবেশে ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শক্তিশালী নিরপেক্ষ ইসি গঠনের দাবিতে মাথায় প্রতীকী ভোটের বাক্স নিয়ে ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে স্বারকলিপি প্রদান এবং ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য প্রতীকী গণভোট সংগ্রহ কর্মসূচির ৬৬তম দিনে ৫৮তম জেলা হিসেবে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বারকলিপি দিয়ে প্রেস ক্লাব ও জেলা শহরে পদযাত্রা করে মানুষের গণমত সংগ্রহ করেছেন হানিফ।
কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশের সংবিধানে বলা আছে, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের উপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত হল ভোটাধিকার। স্বাধীনতার ৫০ বছর ধরে যে দল যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, সে দলই কম-বেশি ভোটাধিকার গণতন্ত্রকে বাঁধা গ্রস্ত করেছে। আজকের যে পরিচিতি, তা এক দিনে তৈরি হয়নি, সব শাসক দলের অপরাজনীতি এ চরম অবস্থা সৃষ্টি করেছে। এ ভয়াবহ অবস্থার উত্তরণও এক দিনে সম্ভব নয়। রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি প্রতিহিংসা থেকে সহিংস পরায়ণ, অবিশ্বাসের সংস্কৃতি চলমান এবং প্রশাসনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও কোন না কোন দলের আনুগত পোষণ করে চলে, সে জন্য রাজনীতিতে অবিশ্বাস কাজ করে। এ অবিশ্বাস ও আস্থা সংকটের কারণে কয়েক বার অনির্বাচিত তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছে। হাইকোর্ট সেই তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে অনির্বাচিত তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বেশি দিন চলতে পারে না। কারণ অনির্বাচিত তত্বাবধায়ক রাজনীতিবিদের জন্য বড় লজ্জাজনক জনক।’
হানিফ আরো বলেন, ‘দেশে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে রাজনীবিদেরা ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতিতে যে আস্থার সংকট, তার জন্য রাজনীতিবিদরাই দায়ী। এখন জনগণের ভোটাধিকার ও নিবিঘ্ন ভোট দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে ও একটি শক্তিশালী নিরপেক্ষ ইসি গঠন করতে সংবিধানের যে আইনের কথা বলা আছে, রাষ্টপতি সব মহলের সাথে আলোচনা করে সেই আইন প্রণয়ন করে ইসি গঠন করবেন। সারা দেশে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের সব স্তরের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে জনগণ মাঝে ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহ সৃষ্টি হবে। কার্যকর গণতান্ত্রিক দেশ বিনির্মাণে আমরা এগিয়ে যাব এবং একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।’
সিএন/এমএ
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন