চলমান ডেস্ক: গতকাল রোববার (১ মে) থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে সয়াবিন তেলের চরম সংকট। যা আজ সোমবার ঈদের আগের দিনও অব্যাহত রয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন- কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না। যা দিচ্ছে, তা খুব অল্প পরিমাণ। আবার অনেকে তাতে শর্তজুড়ে দিচ্ছে। কোম্পানীর আরও কিছু প্রোডাক্ট কিনে নিতে হবে, না হলে তেল দেবেন না তারা।
রাজধানীর বাড্ডা নতুন বাজারের এক দোকানে সয়াবিন তেল কিনতে এসেছেন বাবুল সালেহী। তিনটা বাজার ঘুরেও তিনি তেল কিনতে পারেননি। তার মতো আরও অনেক ক্রেতাই তেল কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। ঈদের আগের দিন ভোজ্যতেলের এমন সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে তেলের কোনো সংকট নেই। খুচরা বিক্রেতারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে।
তেলের সরবরাহ না থাকায় খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মাওলা। তিনি বলেন, আমদানিকারকদের কাছ থেকে তেল এনে সরবরাহ করতে হয়। আমরা যদি তেল আনতে না পারি, তাহলে কীভাবে বাজারে দেবো? বিশ্ব বাজারে তেল নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, এজন্য মজুতের প্রয়োজন আছে। তেল মজুত করতে না পারলে তেলের দাম আরও বাড়বে।
সিটি গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ঈদের পরে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে পারে- এমন আশায় খুচরা বিক্রেতারা তেল মজুত করে রাখছেন। তাদের দোকানে তেল নেই, অথচ গোডাউনে মজুত করে রাখা আছে। ঈদের আগে তেল সংকটের কোনো কারণ নেই। আমরা আজকেও তেল সরবরাহ করছি।
এফআ্ইটি/সিএন
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন