শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

উচ্চ-মধ্যম আয় থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে শ্রীলংকা, নেপথ্যে কি?

মঙ্গলবার, এপ্রিল ৫, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ইফতেখার ইসলাম: নয়নাভিরাম সমুদ্রের তীর আর সবুজ পাহাড়ি পরিবেশে এক অনন্য দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে দেশটি বিশ্বের কাছে সমাদৃত। সরাবছর পর্যটকরা মুখিয়ে থাকেন দেশটিতে ভ্রমণের সুযোগ পেতে। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে অগ্রসর অর্থনীতির দেশ শ্রীলংকা, যেখানে মাথাপিছু জিডিপি চার হাজার ডলারের বেশি। শ্রীলংকার ৯৫ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত, তাদের শিক্ষাব্যবস্থা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গণমুখী। তাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। তবে সেই সৌন্দর্যমন্ডিত দেশটির অসুখ যেন সারছেই না। বৈশ্বিক চাকচিক্যে গা বাসিয়ে পায়ের তলার মাটিটুকুও যেন হারাতে বসেছে দেশটি। সেই সাথে আছে অপরিকল্পিত নীতি প্রণয়ন ও করোনার ধাক্কা।

পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে দেশটির সাধারণ জনগণের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য এখন প্রায় সোনার হরিণ। দিনের বেশিরভাগ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। তীব্র সংকট জ্বালানি খাতে। কাগজের অভাবে থেমে আছে কলম। তর তর করে বেড়েই চলেছে দ্রব্যের দর। চালের কেজি পাঁচ’শ, চায়ের দর শতকের কাছে; দুধ পৌঁছেছে প্রায় ২ হাজারের ঘরে। সবজিসহ অন্যসব পণ্যের দামও বেড়েছে অকল্পনীয়ভাবে। আর এসব সইতে না পেরে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে দেশটির হাজার হাজার মানুষ। দাবি তুলেছে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের। ইতিমধ্যে ২৬ সংসদ সদস্য নিজেদের সম্মান বাঁচিয়েছে সংসদ ছেড়ে। আর পরিস্থিতি সামলাতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। 

কিন্তু কেন ঘটছে এসব? হঠাৎ রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ ছেড়ে সবার নজর কেন শ্রীলংকার দিকে? প্রকৃতির আশীর্বাদ পুষ্ট দেশের কেনই বা এমন নাজেহাল? হ্যাঁ, এর পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আর দেশটির এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে বেশ কয়েক বছরে। দেখা যাক ঠিক কি কারণে এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছালো শ্রীলংকা। 

চাকচিক্যের ঝাঁঝে ঋণের ফাঁদ:

১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার স্বাদ পায় শ্রীলংকা। ২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত দেশটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ ছিল। তখন থেকে অধঃপতন হয়ে তারা এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। নিজেকে উন্নত দেশের সারিতে নিতে শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক ঋণের দিকে হাত বাড়ায়। নতুন বন্দর, হোটেল ও অবকাঠামো তৈরি করা হয় ঋণের অর্থে। কিন্তু দিনশেষে যে জনকল্যাণে কোনো কাজে আসেনি, তা অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে।

গত ১৫ বছরে শ্রীলংকা বেশ কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, রাস্তা এবং আরো নানা ধরণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।রাজধানী কলম্বোর কাছেই সমুদ্র থেকে ভূমি উদ্ধার করে কলম্বো পোর্ট সিটি নামে আরেকটি শহর তৈরি করা হচ্ছে। এর কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২৫ বছর এবং বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার। বলা হয়, হংকং, দুবাই এবং সিঙ্গাপুরকে টেক্কা দেবে নতুন এই শহর। চীনের সাথে একত্রিত হয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শ্রীলংকা।

দেশটির বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে শ্রীলংকা ঋণ নিয়েছে। বিপুল অর্থ খরচ করা হলেও অনেক প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়নি।

কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক শ্রিমাল আবিরত্নে বিবিসি বাংলাকে বলেন, কিছু বড় বড় প্রকল্প শ্রীলংকার জন্য ‘শ্বেতহস্তীতে’ রূপান্তরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাম্বানটোটা সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর।

অধ্যাপক আবিরত্নে বলেন, গত ১৫ বছর ধরে শ্রীলংকায় সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ তেমন একটি হয়নি। বিদেশি বিনিয়োগের পরিবর্তে বিভিন্ন সরকার ঋণ করার প্রতি মনোযোগী হয়েছে।

গত এক দশকে চীনের কাছ থেকে শ্রীলংকা ঋণ নিয়েছে পাঁচ বিলিয়ন ডলার। এ ঋণ দিয়ে শ্রীলংকা বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করেছে।

অধ্যাপক আবিরত্নে বলেন, এক্ষেত্রে শুধু চীনের ঋণকে দোষারোপ করলে হবে না। চীনের কাছ থেকে ঋণ নেয়া সহজ। সেজন্য তাদের কাছ থেকে নিয়েছে। শ্রীলংকার মোট ঋণের ১০ শতাংশ চীন থেকে নেয়া।

শিক্ষা-দীক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে থাকা দেশটির ‘ঋণ করে ঘি খাওয়া’র প্রবণতা দীর্ঘদিনের উল্লেখ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ডিপ্লোম্যাট’র গত ৯ ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ দশক ধরে শ্রীলংকা বিদেশি ঋণের ওপর চরমভাবে নির্ভর করে আসছে। যেমন, ১৯৮৯ সালে দেশটির সরকারি খাতে বিদেশি ঋণ ছিল মোট জিডিপির ৬২ শতাংশ।

ব্যক্তিমালিকানাধীন থিঙ্কট্যাংক লার্ন এশিয়ার সভাপতি রোহন সমরজিভা বলেন, ২০০৭ সাল থেকে রাজস্ব আসে না এমন প্রকল্পে শ্রীলঙ্কা বাণিজ্যিক ঋণ নিয়েছে। ২০১৯ সালে করবিরতির কারণে এই সংকট আরও বেড়ে যায়। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটির অর্থনীতি অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কোনো সরকারই এ ব্যাপারে তাগিদ দেয়নি। গত দুই বছরে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব কমে যাওয়ায় ঋণের বোঝা বেড়েছে। আর এই রাজস্ব কমানো অনেকটাই সরকারের স্ব–আরোপিত।

মহামারির প্রাক্কালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ বলেছে, ইস্টার সানডেতে সন্ত্রাসী হামলা এবং ২০১৯ সালের শেষ দিকে বড় আকারে কর কমানোর নীতির কারণে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।

বৈশ্বিক সূচক সংস্থা মুডির ইনভেস্টর সার্ভিস বলছে, পর্যটন খাতের পুনরুদ্ধারে দেরি করায় শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসের হিসাব বলছে, দেশটিতে ১০০ কোটি ডলারের বৈদেশিক রিজার্ভ রয়েছে, যা দিয়ে এক মাসের কম সময়ের আমদানি বাণিজ্য চালানো সম্ভব।

২০০৭ সাল থেকে রাজস্ব আসে না এমন প্রকল্পে শ্রীলঙ্কা বাণিজ্যিক ঋণ নিয়েছে। ২০১৯ সালে করবিরতির কারণে এই সংকট আরও বেড়ে যায়। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটির অর্থনীতি অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কোনো সরকারই এ ব্যাপারে তাগিদ দেয়নি। গত দুই বছরে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব কমে যাওয়ায় ঋণের বোঝা বেড়েছে। আর এই রাজস্ব কমানো অনেকটাই সরকারের স্ব–আরোপিত।

ঋণ পরিশোধের অক্ষমতায় রিজার্ভ সংকট:

শ্রীলংকার এ সমস্যা রাতারাতি তৈরি হয়নি। গত ১৫ বছর ধরে এ সমস্যা পুঞ্জীভূত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে দেদারছে ঋণ নিয়েছে শ্রীলংকার বিভিন্ন সরকার।

আন্তর্জাতিক সার্বভৈৗম বন্ড বাবদ শ্রীলংকার ঋণ রয়েছে এখন সাড়ে বারো বিলিয়ন মার্কিন ডলার।এছাড়া দেশীয় উৎস থেকেও সরকার ঋণ করেছে।সব মিলিয়ে চলতি বছর শ্রীলংকাকে প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এ সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ (আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ড) দেড় বিলিয়ন ডলার।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছর এসব ঋণ শোধ করতে পারবে না দেশটি। কিন্তু শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব ধারণা সঠিক নয়।

দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো জানিয়েছে, গত দুই বছরে আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ড বাবদ যে ঋণ নেয়া হয়েছে সেখান থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে পাঁচশ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে শ্রীলংকা। ফলে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। যে কারণে দেশটি জ্বালানী তেল এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না।

একনায়কতন্ত্র ও কর সংযোজন:

শ্রীলংকার এই সংকটের জন্য পর্যবেক্ষকদের একাংশ দেশটির প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারকে দায়ী করছেন। সাধারণ মানুষের ক্ষোভও গিয়ে পড়েছে তাদের ওপরে। সর্বশেষ প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ এবং পরবর্তীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ তাই প্রমাণ করে। রাজাপাকসের পরিবার গত কয়েক দশক ধরেই শ্রীলঙ্কার রাজনীতির কলকাঠি নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট হন গোটাবাইয়া রাজাপাকসে আর প্রধানমন্ত্রী হন তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে। শ্রীলংকার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসে তার আরেক ভাই। মন্ত্রীসভার সদস্য আরেক ভাই চামাল রাজাপাকসেও। শুধু ভাইয়েরাই নয়, ভাইদের দুই ছেলে নামাল ও শশীন্দ্র রাজাপাকসেও রয়েছেন মন্ত্রীসভায়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম দাপট দেখিয়ে আসছে শ্রীলংকার রাজাপাকসে পরিবার।

রাজাপাকসের পরিবারের উত্থান হয় দাদা ডন ডেভিড রাজাপাকসের হাত ধরে। তিনি ছিলেন প্রাচীন বৃটিশ শাসনের গুচ্ছগ্রামের গ্রামপ্রধান। তার ছেলে ডন অলউইন রাজাপাকসে। তিনি ছিলেন শ্রীলংকার কৃষিমন্ত্রী। ডেপুটি স্পিকার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল শ্রীলংকান ফ্রিডম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। অলউইনের বড় ভাই ডন ম্যাথিউ রাজাপাকসেও শ্রীলংকায় দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। বাবার হাত ধরে ছেলে এরপর ভাইয়ের সঙ্গে ভাই মিলে শাসন করছে শ্রীলঙ্কা। চাচার পেছনে ভাতিজারাও এখন দেশের প্রধান পদগুলো দখল করতে শুরু করেছে। তিন প্রজন্ম শেষে এখন এই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম শ্রীলংকা শাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে রাজাপাকসে পরিবার এমন নজির স্থাপন করেছে, বাইরে থেকে অনেকেই এটিকে শ্রীলংকার রাজ পরিবার মনে করে ভুল করবে।

২০১৯ সালে ক্ষমতায় এসে অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজাপাকসে। এ জন্য তিনি দেশটির মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে অর্ধেক ৮ শতাংশে নিয়ে আসেন। তার বিশ্বাস ছিল, এটি অর্থনীতির গতিকে ত্বরান্বিত করবে। কিন্তু এ কারণে রাষ্ট্র বিলিয়ন বিলিয়ন রূপি হারাতে শুরু করে। ফলে ঋণ পরিশোধ আরও কঠিন হয়ে যায় সরকারের জন্য। সর্বশেষ ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ যেনো শ্রীলংকার দুর্ভোগকে কানায় কানায় পূর্ণ করলো। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় দেশটির অর্থনীতিও অস্থিতিশীল হতে শুরু করে। মানুষের মধ্যে হতাশা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। তেলের অভাবে প্রতিদিন ১০ ঘন্টার বেশি বিদ্যুতহীন থাকতে হচ্ছে দেশটিকে। মার্চ মাসের শুরু থেকেই দৈনিক ৭ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়েছে শ্রীলংকানদের। দেশটির বেশিরভাগ বিদ্যুৎ আসে কয়লা ও তেলভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রগুলো থেকে। কিন্তু যথেষ্ট রিজার্ভ না থাকায় এগুলোর আমদানি প্রায় বন্ধ শ্রীলংকায়। দেশটির বাসিন্দাদের সামনে দৈনিক ১৬ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎহীন থাকতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

করোনায় বিপর্যস্থ পর্যটন শিল্প:

শ্রীলংকার জাতীয় আয়ের একটি অন্যতম প্রধান উৎস দেশটির পর্যটন শিল্প। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে করোনা মহামারি শুরু পর থেকে দেশটির উপর নেমে এসেছে দূর্যোগের কালো মেঘ। লকডাউনের কবলে পড়ে ধস নামে পর্যটন খাতে। এতে যেমন কমে যায় আয় তেমনি চাকুরি হারায় হাজার হাজার মানুষ। ২০১৯ সালে ১৯ লাখ পর্যটক টেনেছে দেশটি, যা ২০১৮ সালে ছিলো রেকর্ড ২৩ লাখ। আর এর পরের বছর ২০২০ সালে এসে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ লাখের কাছে।  এইদিকে কৃষিখাতেও নেমে আসে ধস। ২০১৯ সালে দেশটিতে চালের উৎপাদন ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। একসময় চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ শ্রীলংকা বাধ্য হয় ৪৫০মিলিয়ন ডলারের চাল আমদানি করতে। আর এতে চালের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। এছাড়া এলাচি ও দারুচিনি মতো মশালা জাতীয় পণ্যের উৎপাদনেও ছিলো না কোন আশাবাদী ফলাফল।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন