আগামীকাল রোববার থেকে পোশাকসহ সব রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খোলার খবরে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে নারী-পুরুষের ঢল নেমেছে। কর্মস্থলে ফেরা এসব মানুষ যারবাহনের অপেক্ষায় রয়েছেন। যে যেভাবে পারছেন ট্রাক, মাইক্রোবাস বা অ্যাম্বুলেন্সে করে কর্মস্থলে ফিরছেন।
আজ শনিবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল, পাঁচলিয়া কড্ডার মোড় থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সে গাদাগাদি করে ঢাকার দিকে ছুটতে দেখা গেছে শত শত কর্মজীবী মানুষকে। কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
পোশাককর্মী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘কোরবানির ঈদে বাড়ি এসেছিলাম পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার জন্য। রোববার থেকে গার্মেন্টস খুলবে—এই খবরে পোশাককর্মীরা কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। বাস বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়ায় বাধ্য হয়ে ট্রাকে করে ঢাকায় যাচ্ছি।’
কর্মস্থলে ফিরছেন আরিফুল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ গার্মেন্টস খোলার খবরে বাধ্য হয়ে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। ট্রাকে করে চান্দুরা যেতে ৬০০ টাকা; প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে যেতে এক হাজার ভাড়া দিতে হচ্ছে। ভাড়া বেশি হলেও কর্মস্থলে ফিরতে হবে। তা না হলে চাকরি থাকবে না।’
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী জানান, পণ্যবাহী ট্রাকে যাতে যাত্রী বহন করতে না পারে, এজন্য মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী বহন করায় বেশ কয়েকটি ট্রাক আটক করা হয়েছে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন