শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

এবার গাজা শাসন করতে চান নেতানিয়াহু

বুধবার, নভেম্বর ৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

সিএন প্রতিবেদন: ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর নির্বিচারে হামলায় গত একমাসে নিহত হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ২৩৭। আর আহত হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার মানুষ। এতসংখ্যক নিরীহ মানুষ খুন করে ক্ষান্ত হননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজাকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে এবার শাসন করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর ইসরায়েল সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দেয়। সে দিন থেকে ইসরায়েল যে হামলা শুরু করেছে, তা দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবারও সেখানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে আবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তবে এই প্রস্তাব খারিজ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

গাজায় গতকাল দিবাগত রাতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাফাহ ও খান ইউনিসে হামলায় ৩৭ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা ওয়াফার সাংবাদিক মোহাম্মদ আবু হাসিরাসহ তাঁর পরিবারের ৪৩ সদস্য ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে। গত রবি ও সোমবার রাতে ওই সাংবাদিকের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী যে এলাকাকে নিরাপদ বলে আখ্যা দিয়ে গাজা সিটির জনসাধারণকে সেখানে যেতে বলেছিল, গাজার সেই দক্ষিণাঞ্চলেও এখন হামলা চালাচ্ছে তারা।

গাজার পরিস্থিতি তুলে ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেন, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ১৬০ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। সেখানে স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জামের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক চিকিৎসক অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করেছেন।

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত সোমবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে তিনি বলেন, গাজা শিশুদের জন্য কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। গাজার পরিস্থিতি এখন মানবিক সংকটের স্তর পেরিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে এরপরও যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভাবছে না ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, সেখানে যুদ্ধবিরতির বদলে কিছু সময়ের জন্য হামলা বন্ধ থাকতে পারে। এই সময়ে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করা যেতে পারে।

এ ছাড়া যুদ্ধের পরও গাজার নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁর দেশের বাহিনী দেখবে বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘সেখানকার নিরাপত্তা যদি আমরা না দেখি, তবে হামাসের উত্থান হবে। এর ফলে কী হতে পারে, সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারব না।’

সিএন/এমটি

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন