ঢাকা: এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করতে বর্তমান সরকারের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। শিক্ষকরা মানব বন্ধনে বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত একমাত্র বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই নেয়া সম্ভব। সরকার চাইলে মুজিব বর্ষেই শিক্ষা জাতীয়করণ করতে পারেন।’
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করে তারা এ দাবি জানান। মুজিব বর্ষেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট এ মানব বন্ধনের আয়োজন করে।
এতে শিক্ষকরা জাতীয়করণ করতে ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা শতভাগে উন্নতিকরণ, জাতীয় বেতন স্কেল ভিত্তিক ৪৫-৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া প্রদান, ৫০০ টাকা মাসিক চিকিৎসা ভাতাকে দেড় হাজার টাকায় উন্নীতকরণের দাবি জানান।
তারা বলেন, ‘শিক্ষকদের জাতীয়করণে সরকারের বার্ষিক খরচ হবে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার কোটি টাকা। এছাড়া এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিলে অর্থ বছরে আয় হবে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা। এর ফলে বছরের বেতন খাতে জাতীয়করণ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতায় অতিরিক্ত সরকারি অর্থ ব্যয় করতে হবে না।’
মানব বন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, ‘১৯৭৩ সালে ৭৩ দিন শিক্ষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু সরকার মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন ৫০ থেকে ৭৫ টাকায় উন্নীত করেন। আর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন ১৫০ টাকায় উন্নীত করাসহ রেশন ব্যবস্থা চালু করেন। এর পর ২০১৩ সালে শেখ হাসিনা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। তাছাড়া এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা দেয়া শুরু করেন।’
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলওয়ার হোসেন আজিজীর সভাপতিত্বে ও অরণ্য সাহার সঞ্চালনায় এতে মানব বন্ধনে বক্তব্য দেন জোটের সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহমদ, তালুকদার আব্দুল মান্নাফ, আফজালুল রশিদ, আফজাল হোসেন, বেণী মাধব দেবনাথ, মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স, জসিম উদ্দিন শেখ।
চলমান নিউইয়র্ক/মোহাম্মদ আলী
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন