চলমান ডেস্ক:
বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার মধ্য দিয়ে রোববার থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে ২০২১ সনের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। যা চলবে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। কোভিড সুরক্ষায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
চলতি বছর এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী। মোট ৩ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।দেড় ঘণ্টায় বিশেষ তিনটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়গুলোর ফলাফলের ওপর মূল্যায়ন করে হবে ফল প্রকাশ।
এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১৮ লাখ ৯৯৮, দাখিলে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ পরীক্ষার্থী রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাড়াও আটটি দেশে ৪২৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
এবার কেবল তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হবে; যা শুরু হচ্ছে পদার্থ বিজ্ঞান দিয়ে। সময়ও থাকবে তিন ঘণ্টার বদলে দেড় ঘন্টা। সোমবার সকালে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা এবং বিকালে হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষা হবে। ১৬ নভেম্বর সকালে রসায়ন (তত্ত্বীয়), ১৮ নভেম্বর সকালে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়), ২১ নভেম্বর সকালে ভূগোল ও পরিবেশ এবং বিকালে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষা হবে।
বাংলা, ইংরেজির মত আবশ্যিক বিষয়গুলোতে এবার পরীক্ষা না নিয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলেরভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
মানতে হবে যেসব নিয়মঃ
পরীক্ষা যথাযথভাবে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরীক্ষার্থী ও দায়িত্বশীলদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
‘অনিবার্য কারণে’ কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরেও হলে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ একটি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সকল সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।
ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিটি আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু কেন্দ্র সচিব মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, তবে ‘ছবি তোলা যায় না’- এমন ফোনই তিনি ব্যবহার করবেন।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্ৰুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় পাবে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুযায়ী ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পাঠাবে।
প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার (নোটবুক) নম্বর ২৮ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পাঠাবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক খাতার নম্বরের সাথে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।
পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী শুধু রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্রে উল্লেখিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) ও বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতিপত্র ব্যবহার করতে হবে।
ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করা যাবে।
আইআই/
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন