টেকনাফ, কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় নির্মানাধীন সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে গ্রেট আউটডোর অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেড, গ্রিন অরচার্ড হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড এবং সানসেট বে লিমিটেডের নামের তিন প্রতিষ্ঠান সাড়ে পাঁচ একর জমিতে ৩২ দশমিক দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে পাঁচ তারকা ও তিন তারকা মানের হোটেলসহ পর্যটন বান্ধব বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও বিনিয়োগকারীর তালিকায় নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের দুইটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৩৪ দশমিক ৬০ মিলিয়ন (৩৩ কোটি ৪৬ লাখ) মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক পরিদর্শন করেছেন। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ হাসান আরিফ, সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের ব্যবস্থাপক মাহবুরুর রহমান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে ইতিমধ্যে প্রশাসনিক ভবন, ডাইক নির্মাণ, ব্রিজ নির্মাণ, ছয় ভেন্ট স্লুইস গেট (রেগুলেটর) নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের জুনে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের আইকনিক ফটো কর্নার উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া এখানে প্রতিরক্ষা বাঁধ, ভূমি উন্নয়ন কাজসহ পানি সরবরাহ লাইন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে দুইটি গেট ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে।
৯৬৪ দশমিক ৯৫ একর আয়তনের এ পার্ক কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে অবস্থিত। পার্কটি ঢাকা থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার ও কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৮২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মেরিন ড্রাইভের মাধ্যমে ট্যুরিজম পার্কের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। তাছাড়া নিকটস্থ জাতীয় মহাসড়ক এন-১-এর মাধ্যমে ট্যুরিজম পার্কের সঙ্গে দেশের অন্য এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিদ্যমান। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি ৩৯ হাজার পর্যটক উপভোগ করতে পারবে। এতে করে প্রায় দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
আহমদ কায়কাউস সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের অংশ হিসেবে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে; পাশাপাশি সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে ট্যুরিজম পার্ক।’
দেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উনীত করার ক্ষেত্রে এ ট্যুরিজম পার্কগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
ইতিধ্যে বেজা সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের মত ইউটিলিটির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে বলে জানান তিনি। এসব প্রতিষ্ঠানকে অতি দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করার তাগিদ দেন ইউসুফ হারুন। পাশপাশি এ অঞ্চলের প্রকৃতি ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে রেখে পাঁচ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে বলেও জানান শেখ ইউসুফ হারুন।
চলমান নিউইয়র্ক/মোহাম্মদ আলী
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন