বৃক্ষ তোমারি ছায়ারী তলে,
বসে থাকতে চাই যে মন,
ধেনু চড়িয়ে, ক্লান্ত হয়ে,
আনকোরা, বসে সারাক্ষণ।
গ্রীষ্ম তোমারি দাবদাহে-
রয়েছে দিন-মজুর,
ছায়ারি তলে-
পেতে আসে, একটু সমধুর।
কেউ বা আসে অসাড় নিতে,
আবার কেউ বা শান্তি,
তোমারি সনে আসলে মোদের,
দূর হয় সব ক্লান্তি।
বৃক্ষ তোমারই ছায়া তলে,
বসে রাখাল ক্লান্তি মনে,
মহিষ-গরু চড়াই,
হাওয়ার তৃষ্ণা পেয়ে সে,
তাহারি প্রাণ জুড়ায়।
ভানু, ঝটিকা যখন আসে
করি তখন অস্থির,
তোমারি দয়ায়, তোমারি ছায়ায়,
তখন থাকি স্থির।
নব-দম্পতি আর নর-নারী
আসে ছায়ারী তলে,
তাহাদের ই প্রেম জমিয়া উঠে,
মধুর হাওয়া বইলে।
জ্ঞানী-গুণী, কবি, লেখক,
যায় তোমারি কাছে,
মধু মাখা, ছায়া পেয়ে,
লিখুনি তাদের আসে।
এমন কি আছে তোমার
বলতে বা কি পার?
তোমারি সৌরভ, তোমারি অনুগ্রহ,
করে আমায় ঘাড়।
ওহে মানব!
অসত্যের ফলে-
হয় কি তাহা-
যদি তুমি জানতে?
মানুষে মানুষে-
হানা-হানি, রেসা-রেসি,
নাহি তবে করতে।
মানব তুমি শিক্ষা লও,
অবুঝ বৃক্ষ হইতে।
পরোপকার কেমনে করে,
তবে তাহা শিখিতে।
হাসপাতালে যখন রোগী
শ্বাসকষ্টে মরে,
অক্সিজেন তখন
প্রাণ নিবারনের-
দরকার হয়ে পড়ে।
অর্থ বিনা তাহারি নিকট
মিলে না অক্সিজন।
অর্থ ছাড়াই বৃক্ষ
দিচ্ছে কত কি জীবন!
চিন্তা কর এক বার!
হিসেব করিলে-
লক্ষ কোটি মূল্য তাহার,
মানব তুমি দিতে পার কি?
তাহারি মূল্য দান!
বৃক্ষ তোমার এই ঋণ,
থাকবে চির অম্লান।
মানব তুমি, শ্রেষ্ঠ হইয়াও
পশুর মত, কর আচরণ।
স্বার্থ বিহীন কার্য নাহি,
কর সমাপন।
আর বৃক্ষ তুমি,
স্বার্থ ছাড়া,
যাচ্ছ করে,
মানবের হিতকার,
বন্ধু রূপে পরিচয় দিলে
বৃক্ষ তুমি আবারও এক বার।
সত্যিই এই এক-
উজ্জ্বল-দৃষ্টান্ত
বৃক্ষ তোমার।
কবি: শিক্ষক, সাংগঠনিক সম্পাদক, বিনয় বাঁশী শিল্পী গোষ্ঠী, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম থেকে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন