বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

শিরোনাম

কাশ্মীর হামলায় অভিযুক্ত গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী’ তালিকাভুক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র

শুক্রবার, জুলাই ১৮, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার জেরে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সহযোগী সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’কে (টিআরএফ) ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এপ্রিলের ওই হামলার প্রেক্ষাপটেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে মার্কো রুবিও জানান, কাশ্মীর হামলায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যায়বিচারের যে আহ্বান জানিয়েছিলেন, তারই প্রতিক্রিয়ায় টিআরএফকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং বৈশ্বিকভাবে বিশেষভাবে চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

২০১৯ সালে আত্মপ্রকাশকারী এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-তইবার একটি ফ্রন্ট এবং প্রক্সি গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লিভিত্তিক ‘সাউথ এশিয়া টেরোরিজম পোর্টাল’–এর তথ্য অনুযায়ী, টিআরএফ মূলত লস্করেরই একটি শাখা।

‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত এই গোষ্ঠী প্রথমে কাশ্মীর হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তা অস্বীকার করে। সংগঠনটির মূল কাঠামো লস্কর-ই-তইবা ভারতসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার দায়ও তাদের ওপর রয়েছে।

টিআরএফকে সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছেন, এই পদক্ষেপ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার প্রতি একটি দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

কাশ্মীর হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারত হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানায়। হামলার নিন্দা জানালেও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেনি।

প্রসঙ্গত, এশিয়ায় চীনের প্রভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী। ওয়াশিংটনের দৃষ্টিতে ভারত এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র, যদিও পাকিস্তানকেও তারা বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন