শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কুমিল্লার ঘটনা ও সাম্প্রদায়িক হামলায় আওয়ামী লীগ সরকার মদদ দিচ্ছে

শনিবার, অক্টোবর ১৬, ২০২১

প্রিন্ট করুন
Fakhrul 1

চট্টগ্রাম: কুমিল্লার ঘটনা ও সাম্প্রদায়িক হামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের বাহিনী মদদ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করে।’

তিনি শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বাদ জুমা চট্টগ্রাম সিটি বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে চট্টগ্রাম সিটি, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছে। আমাদের সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ অবৈধ সরকার ক্ষমতা আসার পর থেকে, তাদের ক্ষমতা টিকে রাখার জন্য সব সময় বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মাঝেমধ্যে সরকারের সংকটগুলোকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরিয়ে নিতে তারা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আমররা এ বিষয়ে বিবৃৃতি দিয়েছি, নিন্দা জানিয়েছি। অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের চিহিৃত করা হোক। বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে। সেই নেত্রীকে আজকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি বর্তমানে করোনা পরবর্তী নানা জটিলতা ও পুরোনো রোগে গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে রাখার কারণে চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার পুরোনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলছেন, ‘‘তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন।’’ কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।’ তিনি খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম সিটি বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আবুল মান্নান, সিটি আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদিন জিয়া, হারুন জামান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. সালাউদ্দীন, নুরুল আমিন, অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, আওয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. সেলিম চেয়ারম্যন, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, অধ্যাপক মো. মহসিন, কাজী সালাহ উদ্দিন,আবু আহমদ হাসনাত, জাকের হোসেন, দক্ষিণ জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য জামাল হোসেন, নুরুল কবির, লায়ন হেলাল উদ্দিন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, এমআই চৌধুরী মামুন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, জাহিদুল হাসান, নূর হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, শরিফ উদ্দিন খান, হাবিবুর রহমান, আব্দ্লু কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, সৎসজীবী দলের আহবায়ক হাজী নুরুল হক, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফ উদ্দিন তুহিন প্রমূখ।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন