শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কোরবানির পশুর চামড়া কী করবেন?

শনিবার, জুলাই ৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চলমান নিউইয়র্ক ডেস্ক: ঈদুল আজহায় পশু কোরবানীর মাহাত্ম ত্যাগে। মাংস এক ভাগ নিজের কাছে রেখে বাকি সমান দুই ভাগ গরীব-মিসকিন ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হয়। কোরবানির পশুর চামড়া ফেলে দেয়ার জিনিস নয়। কুরবানির চামড়া ব্যবহার করা যাবে, ফের দানও করা যাবে।

চামড়ার বিধান: কোরবানীর চামড়া সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কোরবানির পশুর চামড়া দ্বারা উপকৃত হও; তবে বিক্রি করে দিয়ো না’।

এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, যে ব্যক্তি কুরবানি করবে, সে কোরবানির চামড়া বা গোশত বিক্রি করে তার দাম নিজের কাজেও লাগাতে পারবে না এবং চামড়া ও গোশত দিয়ে কসাইয়ের মজুরিও দিতে পারবে না।

ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির চামড়া দান করা উত্তম। তবে কোরবানিদাতা যদি চামড়া ব্যবহার করতে চায়, তবে সে তা ব্যবহার করতে পারবে। তাতে কোন নিষেধ নাই। আর যদি দান করতে চায় বা বিক্রি করে দেয়, তবে তা গরিব, ইয়াতিম ও অসহায়দের দিতে হবে। কোরবানি দাতা নিজে চামড়ার টাকা খরচ করতে পারবেন না। কোরবানির চামড়াকে চামড়ার আকারে রেখে প্রক্রিয়াজাত করে কোরবানি দাতা তা ব্যবহার করতে পারবে। ইচ্ছা করলে প্রিয়জনকে তা উপহার হিসেবেও দিতে পারবে। ফের ইচ্ছা করলে তা সাদকাও করতে পারবে।

যারা জাকাত ও ফিতরা পাওয়ার উপযুক্ত তারাই কোরবানির চামড়ার অর্থ পাওয়ার হকদার। তবে এ ক্ষেত্রে ইয়াতিম, গরিব তালিবুল ইলম তথা ইলমে দ্বীনের গরিব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া যাবে। তালিবুল ইলম তথা ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী যদি ইয়াতিম বা গরিব হয় তবে তাকে জাকাত, ফিতরা ও কুরবানির চামড়ার মূল্য প্রদানে বেশি ফজিলত রয়েছে।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন