বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

শিরোনাম

চট্টগ্রামের বেশ কিছু প্রকল্পে পরিবেশ ভাবনার ঘাটতি রয়েছে: সলিমুল্লাহ খান

মঙ্গলবার, মে ২০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ভারসাম্য বা ইকোলজিকাল ব্যালেন্স নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রথিতযশা চিন্তাবিদ, লেখক ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের টানেলসহ বেশ কিছু প্রকল্প ঘুরে আমার মনে হয়েছে, প্রকৌশল কার্যক্রমে পরিবেশ ভাবনার ঘাটতি রয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) নগর ভবনে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময়
মেয়র চট্টগ্রামে শিক্ষার প্রসার ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে গৃহীত উদ্যোগসমূহ তার সামনে তুলে ধরেন। পরে চসিকের উদ্যোগে প্রবন্ধ ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খানকে প্রদত্ত “অমর একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও পুরস্কার” হস্তান্তর করেন।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান চট্টগ্রামের উন্নয়নে শিল্পগোষ্ঠীর আরও সক্রিয় সম্পৃক্ততার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সময় তাদের ব্যানারে বাংলা ভাষায় নাম লেখা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামবাসীর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে চসিক স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে এবং শিক্ষা খাতে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশে প্রথমবারের মতো চসিক পরিচালিত স্কুলসমূহে ‘স্কুল শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য কার্ড’ চালু করেছি, যাতে করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।”

তিনি আরও বলেন, “শিশুদের স্বাস্থ্য ও বিনোদনের দিকটি মাথায় রেখে প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬টি মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন ব্যাংকের সহায়তায় অন্যান্য ওয়ার্ডেও মাঠ স্থাপন করা হবে।”

সাক্ষাতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন