চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটির পাঁচলাইশ থানা এলাকায় নেচে, গেয়ে ও উল্লাস করতে করতে যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সন্ধ্যার পর থেকে টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সম্প্রতি পাঁচলাইশ থানা এলাকায় খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে এক যুবককে মারধরের ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, নিল রঙের গেঞ্জি ও জিন্স প্যান্ট পরা এক যুবক ঢুলছেন। যার দুই হাত বেঁধে রাখা হয়েছে স্টিলের পাইপের সাথে। আর এ যুবককে ঘিরে গোল হয়ে কয়েকজন যুবক চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘মধু হই হই আঁরে বিষ খাওয়াইলা’ গান গাইছে। ভিডিওতে কয়েকজন যুবকের হাতে লাঠিও দেখা গেছে। পরে মারধর করা তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মূলত ঘটনাটি ঘটেছিল গেল ১৩ আগস্ট। ওই সময় থানায় একেবারে পুলিশ ছিল না বললেই চলে। এটির সুযোগ নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী কয়েকজন এ হামলায় অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর সূত্র ধরে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ‘চট্টগ্রাম ছাত্র জনতা ট্রাফিক গ্রুপ’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ শনাক্ত করা হয়। সেই সূত্র ধরে ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী প্রকাশ জুয়েল (৪২), মো. সালমান (১৬) ও আনিসুর রহমান ইফাত (১৯) গ্রেফতার করা হয়।
গেল ১৪ আগস্ট রাতে সিটির প্রবর্তক এলাকা থেকে পুলিশ মো. শাহাদাত হোসেনের (২৪) লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শাহাদাতের চাচা মো. হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
শাহাদাত নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার পাঁচবাড়িয়া ইউনিয়নের নদনা গ্রামের মিয়া জান ভুঁইয়া বাড়ির মৃত মোহাম্মদ হারুনের ছেলে। তিনি স্ত্রী শারমিন আক্তারের সাথে সিটির কোতোয়ালি থানার বিআরটিসি এলাকার বয়লার কলোনিতে থাকতেন। তাকে চট্টগ্রাম সিটির দুই নম্বর গেট এলাকায় মারধর করা হয়।
সিএন/আলী
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন