সিএন প্রতিবেদন: চট্টগ্রামে পানি সংকট নিরসনের দাবিতে ওয়াসা ভবন ঘেরাও করেছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ওয়াসার হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে ওয়াসা কার্যালয়ের সামনে ধনিয়ালাপাড়া, দেওয়ান হাট, সুপারিওয়ালাপাড়া, পানওয়ালাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে তারা একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
ওয়াসা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নগরবাসী জানান, ওয়াসার পানি সবসময়ই সংকট থাকে। অন্য সময় কোনমতে মানা গেলেও রমজান মাসে তা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ওয়াসার পানির অভাবে আমাদের জীবন দিন দিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এখানে দুর্ভোগের আরেক নাম ওয়াসার পানি। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই।
ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, শনিবার (০৮ মার্চ) রাতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) একটি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলাকালে নগরীর সাগরিকা এলাকায় চট্টগ্রাম ওয়াসার ১১০০ এম এম ব্যাসের প্রধান সঞ্চালন লাইনের পাইপ ফুটো হয়ে যায়। এতে করে অন্তত ১৮ এলাকায় ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ এই সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে হালিশহর এলিভেটেট ট্যাংক হয়ে আগ্রাবাদ বা/এ, সিডিএ আ/এ, পশ্চিম মাদারবাড়ি, হালিশহর, বড়পুল, ছোটপুল, বেপারীপাড়া, গোসাইলডাঙ্গা, পানওয়ালাপাড়া, পোস্তারপাড়, ধনিওয়ালাপাড়া, কদমতলী, হাজীপাড়া, শান্তিবাগ, মুহুরীপাড়া, পাহাড়তলী, ঈদগাঁ, দেওয়ানহাটসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় পানি সরবরাহ করা হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, সাগরিকা মোড়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ১১০০ এম এম ব্যাসের প্রধান সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেশকিছু এলাকায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য রোজার চারদিন আগে একবার প্রধান সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটাও বড় ধরনের ক্ষতি। মেরামত করতে প্রায় সাত থেকে আটদিন লেগেছে। এখন আরও একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আমরা আশা করছি, আজ সন্ধ্যার মধ্যে লাইনটি মেরামত শেষে চালু করতে পারবো। এরপর পানি সরবরাহ পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন