মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নিল চারটি হলুদ কাছিম

রবিবার, জুন ১১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চারটি হলুদ পাহাড়ি কাছিমের বাচ্চা জন্ম হয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) তিনটি ও শনিবার (১০ জুন) আরো একটি কাছিমের বাচ্চা জন্ম হয়। প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি করা খাঁচায় বিলুপ্তপ্রায় কাছিম ছেড়ে দিয়ে ১৫ মাসের মধ্যে ডিম ফুটে এসব কাছিমের জন্ম হয়। ২০১৩ সালের পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বিপন্ন পাহাড়ি কাছিম প্রজনন করেনি। চিড়িয়াখানার নির্বাহী কমিটির সভাপতি চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসকের উদ্যোগে এ কাছিমের জন্য ২০২২ সালের ফেব্রæয়ারিতে নতুন খাঁচা তৈরি করা হয়। সেই খাঁচায় তাদেরকে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণের সুযোগ দেয়া হয়। ফলে, আটটি কাছিম প্রজননের পরিবেশ ফিরে পায়।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডাক্তার শাহাদাত হোসেন শুভ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বিভিন্ন পশু-পাখির বংশবিস্তারের মাধ্যমে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রজননের সফলতায় নতুন যোগ হয়েছে হলুদ পাহাড়ি কাছিম। হলুদ পাহাড়ি কাছিম একটি অতি বিপন্ন প্রাণী। যেসব পশু-পাখি ৮০-৯০ শতাংশ বিলুপ্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ‘অতি বিপন্ন’ এর তালিকায় রাখা হয়েছে হলুদ কাছিমকে।’

তিনি জানান, হলুদ পাহাড়ি কাছিম মাটির নিচে সচরাচর চার থেকে পাঁচটি কিংবা এক থেকে সাতটি ডিম পাড়ে। ১২০-১৫০ দিন অথবা ১০০-১৯০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা জন্ম নেয়। সেই হিসেবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নেয়া পাহাড়ি কাছিম প্রজননে একটু বেশি সময় নিয়েছে।

ভবিষ্যতে এ প্রজাতির কাছিমের আরো বংশবৃদ্ধি হবে ও পরবর্তী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও বন বিভাগের সহযোগিতায় উপযুক্ত পরিবেশে রি-ওয়াইল্ডিংয়ের মাধ্যমে বন্য পরিবেশে তাদের অবমুক্ত করা হবে বলে আশা করছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

হলুদ পাহাড়ি কাছিমকে চাকমা ভাষায় বলা হয় ‘পারবো ডুর’। এরা লম্বায় ৩৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। পরিপূর্ণ অবস্থায় ওজন দাঁড়ায় প্রায় তিন কেজি। বর্ষায় এরা ডিম পাড়ে। হলুদ পাহাড়ি কাছিম উভচর প্রাণী হলেও সাধারণত ডাঙায় থাকে। গুল্মজাতীয় খাবার এদের প্রিয়। সবুজ ঘাস, লতাপাতা, ফুল ও ফল খায়। এ কাছিমের কোষগুলো পাতলা ও পায়ের আঙ্গুলগুলোর মাঝে বুনট চামড়ার জাল থাকে, খোলস সমতল ও সুষম আকৃতির। ডাঙায় থাকে বলে মানুষ এদের শিকারের মাধ্যমে মাংস রান্না করে খায়। ফলে, দিন দিন এদের সংখ্যা কমছে।

বলে রাখা ভাল, এর আগে ২০১৯, ২০২০ ও ২০২২ সালে চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরের মাধ্যমে জন্ম নেয়া অজগরের ৬৫টি বাচ্চা তিন ধাপে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছিল। এছাড়া, আবদ্ধ পরিবেশে বাংলাদেশে প্রথম বারের মত চিতা বিড়াল প্রজনন করেছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়।

সিএন/এমএ

Views: 0

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন