চট্টগ্রাম বন্দরে পানির ফিল্টারের নামে আনা ৫০ লাখ বিদেশি সিগারেট জব্দ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা কনটেইনার ভর্তি বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। হামকো করপোরেশন নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান পানির ফিল্টারের নামে আনা এসব সিগারেট আমদানি করেছে বলে জানায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় পর্যায়ে বিদেশি সিগারেট উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় অবৈধভাবে বিদেশ হতে সিগারেট আমদানির সময় কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের এআইআর শাখা ও শুল্ক গোয়েন্দা রিক্স ম্যানেজমেন্টের আওতায় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) গভীর রাতে বিশেষ অভিযানে একটি ২০ ফুট আকারের কনটেইনার ভেঙে ২৫০টি প্যাকেটে ৫০ লাখ শলাকা সিগারেট জব্দ করে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত পৌনে একটায় চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার (ডিসি) একেএম খায়রুল বাশার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি ২০ ফুটের কনটেইনার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১২টায় তল্লাশি করা হয়। কাস্টমসের নিরীক্ষা, অনুসন্ধান ও গবেষণা (এআইআর) শাখা কায়িক পরীক্ষায় আড়াই হাজার কার্টুন মন্ড সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘২৫০টি প্যাকেজে ৫০ লাখ শলাকা সিগারেট উদ্ধার করে তা আটক করা হয়েছে। আপেল ও স্ট্রবেরি ফ্লেভারের মন্ড সিগারেটগুলো ওয়াটার পিউরিফায়ারের নামে আমদানি করার চেষ্টা করছিল হামকো করপোরেশন লিমিটেড নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান।’

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড থেকে এলসি নিয়ে ব্যাংককের এশিয়ান গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড থেকে ‘কোটা আঙ্গুন’ নামে একটি ভ্যাসেলের কনটেইনারে চট্টগ্রাম বন্দরে আনে।’

তিনি বলেন, ‘আটক কার্যক্রম শেষ করার পর কত টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া চেষ্টা করা হয়েছিল, তা জানা যাবে। স্থানীয় পর্যায়ে বিদেশি সিগারেট উৎপাদন ব্যাহত করার চেষ্টায় অবৈধভাবে বিদেশ হতে সিগারেটগুলো আনা হয়েছে। তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সিএন/আলী