চট্টগ্রাম: করোনা মহামারীতে সরকারের কঠোর বিধি নিষেধ চলাকালীন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১১৪ জন চিকিৎসককে বদলীর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ। চমেক হাসপাতাল শুধুমাত্র চট্টগ্রাম জেলা তথা এ অঞ্চলের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের সেবা পাওয়ার একটি জরুরি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় রিপ্লেসমেন্ট ছাড়া এ জরুরি অবস্থায় হটাৎ বদলী করোনা আক্রান্ত ও সাধারণ রোগীদের মাঝে জরুরি সেবা দানে কিছুট হলেও সংকট তৈরি করবে বলে মত প্রকাশ করে দ্রুত এ ধরনের হটকারী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাব নেতৃবৃন্দ।
গণ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসক ও এর সাথে জড়িত নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, টেকনেশিয়ানসহ অন্যরা। যেহেতু বিধি-নিষেধ চলছে, সাধারণ জনগণের চলাচল নিয়ন্ত্রিত, আর এ সময়ে বদলীকৃত চিকিৎসকদের বদলীকৃত স্থানে স্থানান্তর ও যোগদান স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কঠিন হবে। আর এ সময়ে এসব চিকিৎসকদের সেবা গ্রহীতা সাধারণ ও করোনা রোগীরা তাদের কাংখিত সেবা প্রাপ্তিতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে। ফলে জরুরি চিকিৎসায় সংকট তৈরি করবে। এর বাইরে বদলীকৃতদের রিপ্লেসমেন্ট দেয়া হয়নি এবং দেয়া হলেও নতুনদের দায়িত্ব গ্রহণ করে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখা অনেক স্থানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা একটি মহান মানবিক পেশা। মানুষের জীবন বাঁচানোই এ পেশার মূল কাজ। আর করোনা যেহেতু স্বাস্থ্য সংকট, সে কারণে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী এখানে মূখ্য। অথচ যুদ্ধের ময়দানেও চিকিৎসকরা আহত সৈনিকের চিকিৎসা সেবা দিয়ে জীবন বাঁচান। বাংলাদেশে করোনা মহামারী সংকটে অনেক চিকিৎসকের সাহসী ভূমিকায় জাতি গর্বিত।’
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘চিকিৎসকদের বদলী নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে নানা অনিয়মের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। জনগণের স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিতে চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত চিকিৎসকদের বদলীই স্বাস্থ্য খাতে শৃংখলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না। এর সাথে অন্য আনুসঙ্গিক লজিস্টিক সুবিধা, অবকাঠামোগত সমস্যাগুলিও দ্রুত সমাধান ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। জবাবদিহীতা নিশ্চিতে সেবাগ্রহীতা ও ভোক্তাদের অংশগ্রহণও নিশ্চিত জরুরি। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় একযোগে দেশব্যাপী চিকিৎসকদের বদলীর ঘটনা সময়যোপযোগী হলেও বদলীর জন্য এখন উপযুক্ত সময় নয়। করোনা মহামারীর প্রকোপ কমলে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে ‘
বিবৃতিতে সই করেছেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন