বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

শিরোনাম

চাক্তাইসহ চট্টগ্রাম সিটির সব খাল পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে

রবিবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা ও খাল ভরাট চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সমস্যা। চাক্তাই খালসহ সিটির অন্যান্য খাল সত্যিকার অর্থেই এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ সমস্যার কোন একক সংস্থার পক্ষেই এখন আর মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। জলাবদ্ধতা নিরসন ও খাল পুনঃরুদ্ধারে যুব সমাজ রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিভিন্ন যুব অ্যালায়েন্স ও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় ছাড়াও খালগুলো পূণঃরুদ্ধারে নগরবাসীর সচেতনতা বৃদ্ধিতে যুবদের এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারী) সিটির থিয়েটার ইন্সিটিটিউট চট্টগ্রামে (টিআইসি) ‘জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুবদের করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইপসার সহযোগিতায় এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে চট্টগ্রামের যুব সংগঠনগুলোর নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স অব ইয়ুথ (বে)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী আরোবলেন, ‘প্রতি বছর বর্ষার সময়ে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করলেও এর প্রেক্ষাপট মূলত সারা বছরেই বিদ্যমান থাকে। সিটির জলাবদ্ধতার পিছনে বহু কারণের মধ্যে বর্জ্য অব্যবস্থাপনা ও সিটির খাল ও নালাগুলোর ভরাট অন্যতম। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯৬১ সালে গৃহিত রূপরেখার আদলে শহরের অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।’

পূর্বার সভাপতি প্রকৌশলী সনাতন চক্রবর্ত্তী বিজয় সঞ্চালনায় যুবসংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করেন ইপসার উপ পরিচালক (সামাজিক উন্নয়ন) নাছিম বানু।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম আমাদের শহর। এ শহরের সব সমস্যা নিরসনে আমাদের যুব সমাজ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারবে। বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স অব ইয়ুথ এ ক্ষেত্রে অধিক কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারবে। কারণ এখানে এক ছাতার তলে অসংখ্য সংগঠনের সদস্যরা রয়েছেন।’

সভায় আলোচক উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বোর্ড সদস্য ও স্থপতি ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি স্থপতি আশিক ইমরান।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা রুখতে যুব সমাজ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। বে’র মত সেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনগুলোর নেটওয়ার্ক যেখানে একত্রে অনেকগুলো সংগঠন একই উদ্দেশ্যে কাজ করে, তারা চাইলেই ও সংস্থাগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে। জনমত গড়ে তুলে চলমান উন্নয়নকে বেগবান ও ফলপ্রসূ করতে পারে।’

বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স অব ইয়ুথের সদস্য সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি ছাড়াও সভায় আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, বন ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী চৌধুরী, প্রাবন্ধিক ও গবেষক খন রঞ্জন রায়, দৈনিক পূর্বদেশের সহকারি সম্পাদক আবু তালেব মো. বেলাল, স্থপতি ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার ট্রেজারার স্থপতি বিজয় শংকর তালুকদার, চট্টগ্রাম আরবান নেটওয়ার্কের সদস্য ইউএনডিপির বিভাগীয় সমন্বয়ক সরোয়ার জাহান, উৎসের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল যাত্রা, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের নির্বাহী পরিচালক উৎপল বড়ুয়া প্রমুখ।

এছাড়া বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স অব ইয়ুথের সদস্য সংগঠন হিসেবে বক্তব্য দেন ইউএন ভলান্টিয়ার লিমন শেখ, পজিটিভ থিংর্কাসের সভাপতি জিকু চৌধুরী, চবি স্কুল অব ডিবেইটের সহসভাপতি মরিয়ম জাহান, ইয়ুথ ভয়েস অফ চট্টগ্রামের সভাপতি রিফাত জাহান নদী। সভার শুরুতে বাংলাদেশ অ্যালয়েন্স অব ইয়ুথ নিয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন ইপসার মনিটরিং অ্যান্ড এভালুয়েশন অফিসার সৈয়দ মোহন উদ্দিন এবং সিটির খাল ও নালাগুলোর বর্তমান অবস্থা নিয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন হিউম্যান ভয়েস বাংলাদেশের সভাপতি কাউসার বিন সরওয়ার।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন