ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চার বিষয়ে আলাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশর অগ্রযাত্রা নিয়ে খুশি বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার ও প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
জুনাইদ পলক বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের সাথে থাকতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এসব ব্যাপারে ঐক্যমত্য পোষণ করেছি। আগামী দিনে নয়া সরকারের নয়া যাত্রায় তারা আমাদের পাশে থাকবে।’
আলোচনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা কোন একটা দেশের নয়, পুরো বিশ্বের ইস্যু। সাইবার নিরাপত্তা এবং এআই নিয়ে সচেতনতা তৈরি করাই মূল উদ্দেশ্য। সক্ষমতা ধরে রাখা, জ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিবর্তন করার ব্যাপারে একমত হয়েছি। এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে কাজের সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমাদের কম্পিউটার ইনসিডেন্স রেসপন্স টিম, তাদের কম্পিউটার ইনসিডেন্স রেসপন্স টিম নিয়ে কীভাবে আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে আসা যায়, সে ব্যাপারে আলাপ করেছি।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দুই দেশ একসাথে মিলে পুরো পৃথিবীতে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। এছাড়া, আমাদের দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারটি তুলেছি। আমরা যে সফটওয়্যার রপ্তানি করি এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট এসেছে। এগুলো কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যুবকদের কীভাবে কাজ করতে পারি, তা নিয়েও কথা হয়েছে।’
‘মূলত আমাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের চারটি মেজর ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা, রফতানি ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং যুবকদের স্মার্ট কর্মসংস্থান জেনারেট করা। তারা আগ্রহী হয়েছে।’ যোগ করেন তিনি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষে প্রথম বারের মত প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দলটি পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রীসহ, বিএনপি, সুশীল সমাজ, শ্রমিক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পক্ষের সাথে বৈঠক করেছে।
দলটির প্রতিনিধিরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলর (এনএসসি) ডিরেক্টর এলিন লাউবাকের, ইউএসএআইডির এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতির জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন তারা। সফরকালে তারা তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট, সুশীল সমাজ, শ্রম সংগঠক ও মুক্ত গণ মাধ্যমের বিকাশে নিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে তারা বেশ কিছু বৈঠক করেছেন।
সিএন/আলী
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন