বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, জুলাই সনদ নামের একটি রাষ্ট্র পরিকল্পনা গতকাল সই হয়েছে। সেখানে শুধু জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সই করেনি। এ ছাড়া সব রাজনৈদিক দল সই করেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্ররাই একটি দল গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি নামে।
স্বয়ং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. ইউনূসের নির্দেশে এটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে উপজেলার সব মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মাদরাসা শিক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মেজর হাফিজ বলেন, ‘ইউনূস সাহেব অনেক ভালো কাজ করেছেন, তবে এ কাজটি ঠিক করেননি। ছাত্রদের রাজনীতিতে আনার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
দেশে এমনিতে অনেক রাজনৈতিক দল, এরা চাইলে প্রতিযোগিতা করুক। এদের মধ্য থেকে জনগণ যাকে ভালো মনে করেন তাকে ভোট দেবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমার মনে করি, জুলাই সনদ যারা করেছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক না। আমেরিকা থেকে এদের আমদানি করা হয়েছে।
তাদের রাষ্ট্র পরিচালনারও কোনো অভিজ্ঞতা নেই এবং দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে বসবাস করারও কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তারা তাদের হিতাহিত জ্ঞান থেকে কিছু কিছু ব্যবস্থার সংস্কার করেছে, যেটার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। তারা বলেছে যে দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বেগম খালেদা জিয়া তো ইতোমধ্যে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি চায় তাহলে তাকে আরো তিনবার প্রধানমন্ত্রী করবে। এটা তো জনগণের ইচ্ছা, এখানে চাপিয়ে দেওয়ার কিছু নেই।
সুতরাং কিছু কিছু দফা আছে আমরা পছন্দ করি না।
মেজর হাফিজ উদ্দিন বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি ভোটব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। তারা একটা সিস্টেম বের করেছে ‘পিআর’। তারা চায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে কোনো প্রার্থী থাকবে না, সেখানে দল দাঁড়াবে। ভোটের অংশ হারে এমপি নির্বাচিত হবে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ বিগত সময়ে ভোট দেওয়ায় অভ্যস্ত একজন ব্যক্তিকে। তারা চায় যাকে আমরা চিনি যার কাছে আপদে-বিপদে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারব তাকে ভোট দিতে। এখন জনগণ যদি তাদের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে না পারে তাহলে নির্বাচন অর্থহীন। আর নতুন ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে জনগণ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়বে।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওমর আসাদ রিন্টু সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন তজুমদ্দিন কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মোস্তাক আহমেদ।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন