জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রোকসানা মির্জার জন্মদিনে তার জীবনের কষ্টগাথা কথা গুলো কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করে হালকা হওয়ার চেষ্টা করেছেন। অনেকদিন শ্রোতাদের মনে রোকসানা মির্জার সংসার জীবন নিয়ে নানান প্রশ্ন ছিল। গত ২৫ মে নিউইয়র্কের উডসাইড ঢাকা ক্লাবে তার জন্মদিনে সব প্রশ্নের উত্তর অকপটে সবার কাছে জানালেন তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাজানো হয় গোটা ক্লাব হল। উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের শিল্পী ও বিশিষ্ট জনেরা।
আবেগ আফ্লুত হয়ে রোকসানা মির্জা বলেন, একটা মানুষের ভালবাসার অভিনয়ে পা দিয়ে আমি সব হারিয়েছি। সে আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে। আমাকে বোকা বানিয়ে প্রতারণা করেছে। নির্যাতন করেছে দিনের পর দিন।
এ সময় দর্শক শ্রোতারা রোকসানা মির্জার কথা গুলো একমনে শ্রবন করতে দেখা যায়। এবং অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বাংলা গানের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী রোকসান মির্জা থাকেন নিউইয়র্ক শহরে। স্টেইজ শো করে নিউইয়র্কে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ছোট বেলা থেকে নাচগানের প্রতি আগ্রহ তার। ইতিমধ্যে কয়েকশ স্টেইজ শোতে অংশ গ্রহণ করেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে ইদানিং বেশী শো করছেন না। তারপরও কিছু শোতে অংশ গ্রহণ করেছেন। সম্প্রতি শো করেছেন কুইন্স প্যালেসে বৈশাখী মেলায়।
স্টেইজ শোতে দর্শক মাতানো গানের কারণে ২০০৯ সাল থেকে ঢাকার বাইরে একাধিক দেশে গিয়েছেন মির্জা। ২০১৪ সালের সেপ্টম্বর মাসে চলে আসেন আমেরিকায়। এক যুগের বেশী সময় ধরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত আছেন। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। গানের কারণে একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন।
চ্যানেল আই ‘সেরাকন্ঠ’ পনের তম তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন তিনি। দেশের বাইরে গানের অনুষ্ঠানের একটি চুক্তি থাকায় সেরাকণ্ঠ আর সময় দিতে পারেন নি। তার প্রথম এ্যলবাম বের হয় ‘মনের সাথে কাঁচ মিলাইওনা’ এই এ্যালবামে ওস্তাদের সাথে গান করেন। দ্বিতীয় এ্যালবাম ছিল ‘লাখে একটা’।
রোকসানা মির্জার দাদার বাড়ি ভোলায়। জন্মস্থান ঢাকার বাড্ডায়। একাই থাকছেন নিউইয়র্ক শহরে। সে দিক থেকে মানসিক কষ্টে আছেন । মা সহ ফ্যামেলীর সদস্যদের মিস করেন। আক্ষেপ করে বলেন, মা সাথে থাকলে অনেক কিছুই আমার সহজ হতো।
উল্লেখ্য, জন্মদিনে রোকসানা মির্জার প্রিয় কবুতরটিও সঙ্গে নিয়ে আসেন।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন