শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

জলাবদ্ধতা, যানজট, ভাঙ্গা রাস্তা প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্কাকে গুড়িয়ে দিচ্ছে

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১২, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: ‘আমাদের সব প্রয়াস ও উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের আগামী দিনের বংশধরদের জন্য একটি আধুনিক স্বাস্থ্যময়, সুন্দর ও সুশৃংখল চট্টগ্রাম গড়ে তোলা। চট্টগ্রামের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব কি তা বলার অপেক্ষা রাকে না। কিন্তু জলাবদ্ধতা, যানজট, মশার অত্যাচার, সংস্কারবিহীন ভাঙ্গা রাস্তা, পরিবেশ ও শব্দ দূষণ ইত্যাদি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে গুড়িয়ে দিচ্ছে আর মানুষকে করছে হতাশাগ্রস্থ। জন প্রতিনিধিদের এ ব্যাপারগুলো নিয়ে কতটুকু মাথাব্যথা আছে, তা জনগণ বুঝতে পারছেন না। চট্টগ্রাম মহানগরকে সার্বিকভাবে উন্নত করতে জনগণের কোন অংশগ্রহণ নেই, আর নেই জনগণকে পরিবেশ ও স্বাস্থ সচেতন করার কোন কর্মকান্ড। এটা বর্তমান সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর উন্নত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আজকের এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছি।’

রোববার (১০ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে মনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটির জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে নিয়ে আমি ও আমার সহযোদ্ধারা দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছি। আমরা গত কয়েক দিন ধরে মেগা প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন স্থানে কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের পিছনে যে খালটি তা চাক্তাই খালের অংশ, কিন্তু সেটিতে কেন এখনো হাত দেয়া হয়নি তা বোধগম্য নয়। সেখানে অনেকাংশে পলিথিন ব্যাগ ও আবর্জনায ভরাট হয়ে আছে এবং এর উপর সিটি করপোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-২ এর অফিস এখনো বহাল আছে। এতে খালের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্তের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক ও বেআইনি। এটি ভাঙা না হলে আমরা হাইকোর্টের নির্দেশনার জন্য উদ্যোগ নেব।’

সংগঠনের চেয়ারম্যান মনোয়ার আরো বলেন, ‘শেখ মুজিব রোড কালভার্ট সংস্কারের কোন সংস্কারের জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। অথচ এটি শত শত কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল। আমরা দেখেছি, সিডিএ এভিনিউর (বিশ্বরোড) সম্প্রসারণ কাজ চলছে। কিন্তু এর বাহিরে অতিরিক্ত ধারণকৃত পানিগুলো দ্রুত গতিতে নিস্কশিত হওয়ার ক্ষেত্রে এ বর্ষাতে প্রবলভাবে বাঁধা পাবে, যদি না বর্ষার আগেই এ সবকিছুর সুরাহা না হয়। স্লুইস গেটগুলোর নির্মাণ কাজ কতটুকু হয়েছে, তাও এখনো জনগণ জানেন না। মুরাদপুর শহীদ জানে আলম সড়কসহ নগরীর বেশিরভাগ গলিতে ড্রেনগুলো মেগা প্রকল্পের আওতায় এনে সংস্কার ও সম্প্রসারণ না করায় এখান থেকে ময়লা পানি জমে দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে মশার উপদ্রব আরো বেড়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান মশার উপদ্রব, ভরাট খাল, নালা, সংস্কার বিহীন অলিগলি, যানজট, শব্দ ও পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি দেখে মনে হয় না এখানে কোন একটি সিটি করপোরেশন বা কতৃপক্ষ রয়েছে। মশার উপদ্রব থেকে জনগণকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে সিটি করপোরেশন।’

‌‌‘আজ আমরা সার্বিক বিবেচনা করে ঘোষণা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে নগরীকে মশামুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে আমরা গণ-অনশনসহ বিভিন্ন ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব। একই সাথে সিডিএ ও সিটি করপোরেশনের কাছে দাবি করছি, এ পর্যন্ত খোলা ড্রেনে পড়ে যারা মর্মান্তিকভাবে মারা গেছেন, তাদেরকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এসব পুনরাবৃত্তি বন্ধে কি করা উচিত, তা সংশ্লিষ্টরা জানেন। আর একটি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে নগরবাসী আর চুপ থাকবে না।’

সংগঠনের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ সভাপতি শাহরিয়ার খালেদ। উপস্থিত ছিলেন লাইলা বানু গোলাপুর রহমান, মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, আকরাম হোসেন, টিআর খান, এজিএম জাহাঙ্গীর আলম, ফরিদ, কানিজ ফাতেমা, ইমতিয়াজ, তসলিম খাঁ।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন