শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের বাধা দিলে ৭ বছরের কারাদণ্ড

বুধবার, মার্চ ২৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ বা কাজে বাধা দিলে সর্বোচ্চ ৭ বছর এবং সর্বনিম্ন দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভিত্তিক রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)’ সংশোধনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি জানান, এ বৈঠকে ‘ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন-২০২৩’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ তিনজন ব্যাংকের পরিচালক হিসাবে থাকতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে এই সংখ্যা রয়েছে ৪ জন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, আরপিও সংশোধন সংক্রান্ত আইনটি আরও যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেবিনেটে আনা হবে। সচিব বলেন, আরপিওতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এখন থেকে আয়কর সনদের কপি জমা দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন ক্ষুদ্র ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের বকেয়া জমা দিয়ে প্রার্থী হওয়া যাবে। বিদ্যমান আইনে ৭ দিন আগে পরিশোধের বিধান রয়েছে।

‘ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন-২০২৩’ সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একটি পরিবারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ তিনজন পরিচালক হতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ চারজন পরিচালক হওয়ার বিধান আছে। আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী কার্যকর হলে পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের কর্তৃত্ব হ্রাস পাবে বলে জানান সচিব।

সচিব আরও বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ খেলাপি হলে তিনি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। এমনকি ঋণের অর্থ পরিশোধ করলেও তিনি পরবর্তী পাঁচ বছর পরিচালক হতে পারবেন না। ঋণখেলাপিদের দেশের বাইরে যেতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা। জরিমানা এককালীন-এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিদিন ১ লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।

কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, জানানো হবে আগেই : কার কত ভূমি উন্নয়ন কর-তা আগেই জানিয়ে দেওয়ার বিধান রেখে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, এখন বাংলা বর্ষপঞ্জি (ক্যালেন্ডার) অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন আইনে জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে।

আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে বলেও তিনি জানান। কোনো ভূমির মালিক যদি একসঙ্গে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিয়ে থাকেন, তাহলে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর আদায় করার বিধান রাখা হয়েছে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন