সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

জাহাজীকরণ সংকটে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যে পোশাক রপ্তানিতে বাধা

বুধবার, জুলাই ৭, ২০২১

প্রিন্ট করুন
চট্টগ্রাম বন্দর 2

রপ্তানি পণ্য পরিবহনে কনটেইনার সংকট এবং যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রগামী বড় জাহাজে চাহিদা অনুযায়ী বুকিং না মেলায় তৈরি পোশাক পণ্য সময়মত জাহাজীকরণ করা যাচ্ছে না। ফলে প্রাইভেট আইসিডিগুলোতে কনটেইনারের জট সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে, যথাসময়ে রপ্তানি পণ্য পাঠাতে না পেরে অনেকের রপ্তানি আদেশ বাতিল হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সংকট নিরসনে করণীয় নির্ধারণে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে বিজিএমইএ’র কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তবে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় থেকে বলা হয়েছে রপ্তানিতে জাহাজের কোন সংকট নেই।

চট্টগ্রাম বন্দরের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় তথ্যগুলো জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিটিটিএলএমইএ, বিজিএপিএমইএ, এলএফএমইএবি, বিকডা, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শিপিং লাইন, বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং এসোসিয়েশন ও বিএফএফএ’র মধ্যে এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

আরো পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে জাহাজ এবং খালি কনটেইনারের সংকট নেই

সভায় বিজিএমইএ’র সহ- সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম, পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক হারুন উর রশিদ, পরিচালক রাজিভ চৌধুরী, বিএফএফএ’র সভাপতি কবির আহমেদ, বিকডার প্রথম সহ-সভাপতি জওহর রিজভী, বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিটিএলএমইএ’র সভাপতি এম শাহাদাৎ হোসেন, বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি মো. আব্দুল কাদের, বিটিএমএ’র পরিচালক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এলএফএমইএবি’র পরিচালক জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইকবাল আলী শিমুল এবং অন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ/প্রতিনিধিগন অংশগহণ নেন।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন। সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘উপরোক্ত সংকটের কারণে বিজিএমইএ’র অনেক সদস্য প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি পণ্যের চালান আইসিডি’তে এক মাস থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত পড়ে থাকায় তারা রপ্তানি আয় পাননি। বিদেশী ক্রেতার কাছে পণ্য পাঠাতে এখন দুই থেকে চার সপ্তাহ অতিরিক্ত লাগছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশেষ ছাড় দিতে হতে পারে। এতে করে উদ্যোক্তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হবেন।’ তিনি বলেন, ‘এমনিতেই কোভিড পরিস্থিতির কারণে পোশাক শিল্প কঠিন সংকটের মুখে রয়েছে। এ অবস্থায় ক্রেতাদের কাছে সময়মত পণ্য পৌঁছানোতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ায় উদ্যোক্তারা নতুন করে বিপাকে পড়েছেন।’

এ সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য তিনি উপস্থিত সংগঠনগুলোকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। সভায় উপরোক্ত সংকট সমাধানে কিছু প্রস্তাবনা উঠে আসে। এগুলো হল-খালি কনটেইনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা; জাহাজ ও কনটেইনারের স্বল্পতার সমস্যা সমাধানে বন্দর কর্তৃপক্ষকে কনটেইনার ফিডার ভেসেল বার্থিং সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা; সংকট মোকাবেলার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে হলেও নতুন জাহাজ কোম্পানিকে নতুন কনটেইনার জাহাজ পোর্টে বার্থিংয়ের সুযোগ দেয়া; ক্রেতার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে যদি নির্ধারিত কোন ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার/শিপিং লাইন রপ্তানি কার্য সম্পাদন করতে সমস্যার সম্মক্ষীন হয়, তাহলে অন্য ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার/শিপিং লাইনকে কাজে সহযোগিতা করার জন্য সুযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া; অস্থায়ী ভিত্তিতে এক্সপোর্ট ইয়ার্ডের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি।

সভায় রপ্তানী পণ্য চালান হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়াকে আরো সময়সাশ্রয়ী করার জন্য বিএফএফএ’কে অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়াও সভায় শিপিং এজেন্ট (এমএলও) ও ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার কর্তৃক বিভিন্ন নামে বে-আইনী চার্জ ও বর্ধিত হারে ডিও/এনওসি চার্জ আদায় বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

আরো পড়ুন:

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন