চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে বদরপাতির আব্দুল জব্বার সওদাগর চট্টগ্রাম সিটির লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা; যা পরে খেলা ও মেলায় পরিণত হয়। বাংলা পঞ্জিকার ১২ বৈশাখের বলি খেলাটি আব্দুল জব্বারে বলি খেলা হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর মেলা বন্ধ থাকার পর এবার বসবে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার আসর। আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল তিন দিন বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ বৈশাখ অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল বিকাল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বলী খেলা চলবে।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চত্বরের ২০ ফুট বাই ২০ ফুটের স্টেজ করে বলী খেলা চলবে বলে মেয়র জানান।
রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে লালদিঘীর মাঠে বলী খেলা ও মেলার স্থান পরির্দশন করতে গিয়ে রেজাউল করিম এসব তথ্য জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতাউল্লা চৌধুরী, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, পুলক খাস্তগীর সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, মেলা কমিটির সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সদস্য সচিব শওকত আনোয়ার বাদল, সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, বলী খেলার রেফারী ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মালেক, মো. চঞ্চল, মো. ইউছুপ, জিয়াউল হক সোহেল ও কোতেয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন।
মেয়র আরো বলেন, ‘জব্বারের বলী খেলা শুধু একটি খেলা নয়; এটি আমাদের ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদেরকে সকলের সহযোগিতা করতে হবে। সময় স্বল্পতার কারণে স্পন্সরের বদলে সম্পূর্ণ আয়োজনের ব্যয়ভার চসিক গ্রহণ করবে। এ মেলায় সাথে আমাদের প্রান্তিক গ্রামের অর্থনৈতিক নিবিড় সর্ম্পক রয়েছে। বৈশাখ মাসকে ঘিরে মেলায় নানা শৈল্পিক ও গৃহস্থালী পণ্য বিক্রি করার জন্য গ্রামের হস্ত শিল্পের কারিগররা ব্যস্ত থাকে, অন্য দিকে নানা খাবারের পসরা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাতো। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার কারণে তাদের উৎসাহ ও জীবন জীবিকার স্বার্থ বিবেচনায় এ মেলার আয়োজন। মেলার আগের যে জৌলুস ছিল, এখনো সবকিছুই থাকবে।’
তিনি মনে করেন, মেলা বন্ধের সিন্ধান্তে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল, তা পুরোপুরি নিরসন হবে।
মেয়র এ ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে রাজনৈতিক ও প্রসাশনসহ সকলের সহয়োগিতা কামনা করেন। পরে তিনি লালদীঘি পাড়স্থ চকিস লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলায় মেলা কমিটির কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন