নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: নিউ আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ক্লাব ইনকের বার্ষিক ডিনার পার্টি ‘মিট এন্ড গ্রীট’ বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গত ১২ জানুয়ারী সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকার তাজমহল পার্টি হলে অয়োজিত অনুষ্ঠান ডেমোক্র্যাট পার্টির মিলন মেলায় পরিণত হয়। এতে স্টেট ও সিটি প্রশাসনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাসহ বিপুল সংখ্যক ডেমোক্র্যাট দলীয় লীডার অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে রাজনীতিকরা বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি বাংলাদেশী-আমেরিকান নতুন প্রজন্মের আগ্রহ ও এই দলের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এবং নতুন নতুন বাংলাদেশী-আমেরিকানের আংশগ্রহনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বক্তারা রাজনীতিতে আরো সক্রিয় হওয়ার জন্য বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বাংলাদেশী-আমেরিকানদের কমিউনিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশী কমিউনিটিরও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে ছিল শুভেচ্ছা বিনিময়, অ্যাওয়ার্ড বিতরণ, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজ। অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল নিউ আমেরিকান ইয়্যুথ ফোরাম অব নিউইয়র্ক ও নিউ আমেরিকান ওমেন্স ফোরাম অব নিউইয়র্ক।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নিউ আমেরিকান ওমেন্স ফোরামের সভাপতি রুবাইয়া রহমান। নিউ আমেরিকান ওমেন্স ফোরামের নতুন অ্যাডভাইজরি কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন সাবিনা হাই উর্বি ও সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন সালমা ফেরদৌস। অনুষ্ঠানে নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরানের কার্যনির্বাহী কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন সংগঠনের সভাপতি আহনাফ আলম, নুসরাত আলম ও মুশরাত শাহীন অনুভা।
অনুষ্ঠানে নিউ আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোরশেদ আলম, নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানি উইলিয়ামস, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন সি ল্যু, স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার স্টিভেন রাগা ও জোহরান মামদানি, নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃষ্ণান, নানতাশা উইলিয়ামস ও লিন্ডা লি, ডিস্ট্রিক্ট লিডার মার্থা টেইলর, ফ্র্যাঙ্কলিন টাউনশিপ ডেপুটি মেয়র শিপা উদ্দিন, ডেমাক্রেটিক পার্টির কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ এটর্নি মঈন চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট নাসির আলী খান পল, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মেরাজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সাপ্তাহিক প্রথম আলো সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আহসান হাবীব, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী পরিতোষ পাল, বাংলাদেশী-আমেরিকান এডভোকেসী গ্রুপের (বাগ) সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ঢাকা জেলা এসোসিয়েশন ইউএসএর সভাপতি দুলাল বেহেদু, নিউ আমেরিকান ওমেন্স ফোরামের এক্সিকিউটিভ অ্যাডভাইজার অধ্যাপিকা হুসনে আরা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আমীন মেহেদী, জে মোল্লা সানি, রাব্বি সৈয়দ, আনজাম সিদ্দিকী।
কমিউনিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে অনুষ্ঠানে বেশকয়েকজনকে সম্মাননা দেয়া হয়। তারা হলেন ‘ইয়ুথ ইনোভেশন অব দ্য ইয়ার’ সাপ্তাহিক ঠিকানা’র ভাইস চেয়ারম্যান মুশরাত শাহীন অনুভা, ‘ইয়ুথ এন্টারপ্রেনার অব দ্য ইয়ার’ রিভারটেলের ফাউন্ডার ও সিইও রুহিন হোসেন, ‘এডুকেটর অব দ্য ইয়ার’ ড. কিম হিল এবং ‘কমিউনিটি লিডার অব দ্য ইয়ার’ প্রেস্টন বাকের।
এছাড়াও ‘আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার স্টিভেন রাগা, ‘ইয়ুথ এন্টারপ্রেনার অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন তাজিন খান ও ‘আউটস্ট্যান্ডিং ফিজিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন ডাক্তার ইলোরা রফিক।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে পারফরমেন্স করে ‘স্বরলিপি’র শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনা ছিল বেশ উপভোগ্য।
সিএন/আলী
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন