ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার উপজেলার বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ১৫ গ্রাম। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে উপজলা পরিষদ এলাকার বিষখালী তীরের বাঁধের একটি অংশ ভেঙে পানি স্থানীয়দের বাড়ির আঙিনায় ঢুকে পড়ে। তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের। এতে আতঙ্কে রয়েছেন বাঁধভাঙা এলাকার বাসিন্দারা।
পানিতে তলিয়ে গেছে কাঁঠালিয়া সদর, বড় কাঁঠালিয়া, পূর্বকচুয়া, লতাবুনিয়া, রঘুয়ার দড়ির চর, সোনার বাংলা, আওরাবুনিয়া, জাঙ্গালিয়া, ছিটকী ও আমুয়াসহ বিষখালী নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ১৫টিরও বেশি গ্রাম। এ ছাড়া জেলা সদর, নলছিটি ও রাজাপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রাত পার করেন নদীতীরের মানুষজন। তবে এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি এসব এলাকার বাসিন্দারা।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এক কোটি ১৩ লাখ টাকা ও ২০০ টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।
জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৫৯টি সাইক্লোন শেল্টার সেন্টার ও ৪৯৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৩৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন