শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

শিরোনাম

টাকার অভাবে থেমে আছে চিকিৎসা, বাঁচতে চায় মাহমুদা

বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৭, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনে জন্য’ এ কথাটি যেন মিথ্যে প্রমাণিত হতে যাচ্ছে শিক্ষক নুর মোহম্মদের কাছে। চিকিৎসা নামক মহাযুদ্ধে স্ত্রীকে বাঁচাতে যুদ্ধ করেই যাচ্ছেন তিনি। বাড়িতে অসুস্থ স্ত্রী মাহমুদা খাতুনকে (৩৬) রেখে কোনো কাজই ঠিকমতো করতে পারছেন না।

স্ত্রী মাহমুদার দুটি কিডনিই নষ্ট। স্থানীয় চন্ডিগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ইংরেজি শিক্ষকের পক্ষে বিশাল খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসার খরচ মেটাতে নিজের সহায় সম্বল ইতোমধ্যে শেষ করে দিয়েছেন এ স্বামী। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চলছে তার চিকিৎসা।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাগিচাপাড়া এলাকার আলহাজ্ব মৌলভী হাফিজ উদ্দিনের মেয়ে মাহমুদা খাতুন। এ কিডনি রোগীর চিকিৎসার জন্য মাসে প্রয়োজন প্রায় ৩০ হাজার টাকা।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে টানা পাঁচ বছর ধরে চলছে এ চিকিৎসা। বর্তমানে ডায়ালাইসিস সেবা নিতে প্রতি মাসেই লাগছে টাকা। অর্থ সংকটে মাঝপথেই ডায়ালাইসিস বন্ধ করতে হচ্ছে তাদের। হাতে টাকা নাই, টাকা জোগাতে না পেরে চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তাই করছেন তারা। চিকিৎসা মেটাতে ঋণে জর্জরিত হয়ে পথে বসছে এ পরিবারটি।

শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘হাসপাতালের কিডনি ইউনিট, স্কুলের চাকরি ও রোগী নিয়ে আসা-যাওয়া করতে করতে আমি এখন খুবই ক্লান্ত। স্ত্রীকে বাঁচাতে আমার সহায় সম্বল সব শেষ করেছি। বর্তমানে ডায়ালাইসিসের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মানুষের কাছ থেকে ধার-দেনা আর কতো নেওয়া যায়। ’

তিনি আরও বলেন, কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুজ্জামান স্যার জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্লান্ট) ছাড়া মাহমুদাকে বাঁচানোর কোনো উপায় নেই, তাও আবার অপারেশনের জন্য নিতে হবে দেশের বাহিরে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ’

মাহমুদার বাবা মৌলভী হাফিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা জোগাড় করতে না পারলে বন্ধ হয়ে যাবে চিকিৎসা। মেয়ে জামাইয়ের স্কুলের বেতন ছাড়া কোনো আয় নাই। এতোদিন ধার-দেনা ও সহায় সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসার খরচ চালিয়েছি। এখন আর পারছি না। ’

মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন এ বাবা।

সহায়তার জন্য যোগাযোগ ০১৯১৮৫৬৭৫৩০ (মাহমুদার বাবা)।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন