লিভারে শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে শরীরকে বিষমুক্ত রাখার দায়িত্ব পালন করে। তবে লিভারের সুস্থতা বজায় রাখতে বিশেষ কোনো ওষুধ বা খাদ্যাভ্যাস নয় বরং একটি সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসই বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আর তা হলো হাত ধোয়া।
লিভার অকেজো হলে শরীরে নানাবিধ জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। যার প্রভাব পড়ে পেট, হার্ট ও মস্তিষ্কসহ পুরো দেহের ওপর। বর্তমানে ফ্যাটি লিভারসহ বিভিন্ন ধরনের লিভারের রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।

তবে লিভারের সুস্থতা বজায় রাখতে বিশেষ কোনো ওষুধ বা খাদ্যাভ্যাস নয় বরং একটি সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসই বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আর তা হলো হাত ধোয়া। আমেরিকান প্রবাসী ভারতীয় গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই সবাই হাত ধোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে জানে, বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় এই অভ্যাসটি ব্যাপকভাবে পালনও করা হয়েছিল। কিন্তু এখন অনেকেই আবার সেটি ভুলে গেছেন।
লিভারের অসুখ ঠেকাতে নিয়মিত যেভাবে হাত ধোয়া জরুরী
বাইরে থেকে বাড়ি ফেরা, অফিসে প্রবেশ বা খাবার আগে অনেকেই হাত ভালোভাবে ধোন না, যা লিভারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বহু গবেষণায় প্রমাণিত যে, লিভারের সংক্রমণ রোধে নিয়মিত হাত ধোয়া অত্যন্ত কার্যকর। হেপাটাইটিস এ ও ই ভাইরাস ময়লা হাতের মাধ্যমে মুখগহ্বরে প্রবেশ করে লিভারে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

‘জার্নাল অফ ট্রপিক্যাল ডিজিজ অ্যান্ড পাবলিক হেলথ’-এ প্রকাশিত সাংহাইয়ের ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের এক সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফলও এ তথ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
গবেষণায় বলা হয়েছে, লিভারের অনেক সংক্রমণই এড়ানো সম্ভব শুধু পরিষ্কার হাতের অভ্যাস বজায় রাখলেই। ময়লা হাতে খাবার ধরার ফলে ভাইরাস মুখে প্রবেশ করে লিভারে সংক্রমণ ঘটায়।
যেভাবে হাত ধুবেন:

- ১. শুধু সাবান ও পানি ব্যবহার করেই কার্যকরভাবে হাত পরিষ্কার রাখা সম্ভব।
- ২. অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ভালোভাবে ঘষে হাত ধোয়া উচিত।
- ৩. টয়েলেট ব্যবহারের পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে।
- ৪. রান্না করার আগে ও খাবার খাওয়ার পর প্রতিবার হাত ধোয়া অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
ডা. সৌরভ শেঠির মতে, এই সাধারণ অভ্যাসটি নিয়মিত বজায় রাখলে লিভারের সংক্রমণসহ অনেক জটিল রোগের ঝুঁকি থেকে সহজেই দূরে থাকা সম্ভব।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন