গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ—ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যার নেতৃত্বদানকারী তরুণদের একটি অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন।
নতুন বাস্তবতায় ডাকসু নির্বাচনে কোন ছাত্রসংগঠনগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং কারা সম্ভাব্য প্রার্থী হবেন—এ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তাছাড়া সারাদেশের রাজনীতি সচেতন মানুষেরও এ নিয়ে আগ্রহ আছে, তারা ডাকসুর প্রার্থীদের ব্যাপারে জানতে চায়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত। প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২৫ আগস্ট এবং ভোটগ্রহণ ৯ সেপ্টেম্বর। তবে রয়েছে বিশেষ শর্ত, ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা পাবে পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া থাকছে না বয়সসীমা।
তবে ইভিনিং কোর্স, এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষার কোর্সের শিক্ষার্থীরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পারবেন না। ছাত্রত্ব না থাকলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে না।
ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে আবাসিক হলের বাইরে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ছাত্রসংগঠনগুলো প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত। এবার অনেক সংগঠনই দলীয় প্যানেলের বদলে সম্মিলিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্যানেল গঠনের চিন্তা করছে। এছাড়া নারী, বিজ্ঞান অনুষদ, আদিবাসী, সংখ্যালঘু ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যেখানে নতুন করে যুক্ত হয়েছে চারটি পদ—গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক।
আলোচিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আবু বাকের মজুমদার, জাহিদ আহসান। ছাত্রদল থেকে আবিদুল ইসলাম খান, বি এম কাওসার। বাম সংগঠন থেকে মেঘমল্লার বসু, জাবির আহমেদ। ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে আবু সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ। এদিকে স্বতন্ত্র প্যানেল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
বিভিন্ন সংগঠন থেকে এসেছে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া। নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের সহিংসতা বন্ধ ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল। ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার না করায় নির্বাচনকে ‘অপূর্ণাঙ্গ’ বলে মনে করছে ছাত্র ইউনিয়ন। নির্বাচনকে স্বাগত জানালেও সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। এছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবির দাবি জানিয়েছে সব ক্যাম্পাসে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন