ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা জরুরি। বিশেষ করে, স্ন্যাকস বা হালকা খাবারে ভুল বাছাই করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক খাবার বেছে নেওয়া খুবই জরুরি। সঠিক স্ন্যাকস শুধু সুগার নিয়ন্ত্রণেই সাহায্য করে না, বরং শরীর সুস্থ রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
জেনে নিই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযুক্ত কিছু স্ন্যাকস
সেদ্ধ ডিম

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সেদ্ধ ডিম খুবই উপকারী। এতে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে, যা মাংসপেশি গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরকে শক্তি জোগায়। ডিমে থাকা ভিটামিন বি, বি-১২ ও ভিটামিন ডি শরীরকে আরো শক্তিশালী করে।
চিয়া বীজ
চিয়া বীজ পেট ভরিয়ে রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। দুধ বা দইয়ের সঙ্গে, অথবা ফল, বাদাম ও সামান্য মধু দিয়ে চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না বরং হজমে সহায়ক।
বাদাম ও বীজজাত খাবার
আখরোট, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়োর বীজ ইত্যাদি উপকারী স্ন্যাকস। এতে থাকে প্রচুর ফাইবার ও প্রোটিন, যা হজমশক্তি বাড়ায় ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে অবশ্যই পরিমাণমতো খেতে হবে।
ছোলা ও সবজি

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সেদ্ধ ছোলা একটি দারুণ বিকল্প। পাশাপাশি গাজর, শসা, ক্যাপসিকামসহ বিভিন্ন সবজিও খেতে পারেন। এতে প্রচুর ফাইবার ও প্রোটিন থাকে যা শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
ফ্রুট চাট
ফল যেমন আপেল, কমলালেবু, পেয়ারা দিয়ে তৈরি ফ্রুট চাট ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযুক্ত। এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। স্বাদ বাড়াতে লেবু ও সামান্য চাট মশলা যোগ করতে পারেন। তবে যদি আপনার ডায়াবেটিস ছাড়াও অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে যেকোনো নতুন খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন