শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ডিজিটাল সার্ভিসের মার্কেটপ্লেস ‘অ্যাপলিংক’ চালু করল বাংলালিংক

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১২, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ডিজিটাল সার্ভিসের মার্কেটপ্লেস ‘অ্যাপলিংক’ চালু করেছে বাংলালিংক। বাংলালিংকের গ্রাহকদের সাথে স্থানীয় ডেভেলপারদের সংযুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদেরকে সহজে ডিজিটাল সার্ভিস কেনার সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি এটি ডেভেলপারদের জন্য আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

আইসিটি ডিভিশনের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রোববার (১০ এপ্রিল) অ্যাপলিংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ, বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত, চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান।

স্থানীয় ডেভেলপাররা https://dev.applink.com.bd ভিজিট করে নিবন্ধন সম্পূর্ণ করার পর অ্যাপলিংকের প্ল্যাটফর্মে এসএমএস, ইউএসএসডি ও বিলিং সংযোগের মত প্রয়োজনীয় সব টুলস্ এবং এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) পাবেন। এ প্ল্যাটফর্মে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খেলাধুলা, কৃষি, জনসেবা, বিনোদন ও ব্যবসায়ের মত বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস পাবলিশ ও আয় করা যাবে। বাংলালিংকের গ্রাহকরা https://applink.com.bd ভিজিট করে মোবাইল এয়ারটাইম ব্যালেন্স দিয়ে তাদের পছন্দের ডিজিটাল সার্ভিসগুলি কিনে ব্যবহার করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তরুণদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক ডিজিটাল উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলালিংকের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এবার বাংলালিংক এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এনেছে, যা তরুণ ডেভেলপারদেরকে দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপ তৈরিতে উৎসাহ দেবে। তরুণ পেশাজীবীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে কীভাবে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলি আমাদের আইটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, তা এ উদ্যোগে প্রতিফলিত হয়।’

ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ডিরেক্টর জেনারেল (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস ডিভিশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ‘আমি বাংলালিংকের এ প্রশংসনীয় উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ‘অ্যাপলিংক’ আমাদের তরুণ আইটি পেশাজীবীদের ক্ষমতায়ন করবে ও তাদের কাজকে স্থানীয় বাজারে তুলে ধরার সুযোগ দেবে। আশা করি, বাংলালিংক ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো উদ্যোগ নেবে।’

উপাঙ্গ দত্ত বলেন, ‘আমরা দুইটি উদ্দেশ্য নিয়ে অ্যাপলিংক চালু করেছি। প্রথমত, এ নতুন ডিজিটাল ইকোসিস্টেমটি একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্থানীয় ডেভেলপারদের ক্ষমতায়ন করবে। তারা উপার্জনের পাশাপাশি তাদের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পাবে। দ্বিতীয়ত, এর মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা সহজেই তাদের পছন্দের সেবা ও অ্যাপ কিনতে পারবে। আমরা এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের ডিজিটাল সেবার সংখ্যাকে আরো বৃদ্ধি করতে পেরে আনন্দিত। এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যম দেশের তরুণ ডেভেলপারদের সহায়তা করার আশা করছি।’

বাংলালিংক তরুণদের ক্ষমতায়ন ও দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাবে।

সিএন/এমএ

Views: 0

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন