মুজিব উল্ল্যাহ তুষার: সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ এর ২৯ জানুয়ারির মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর কোন কারণে সংসদ ভেঙ্গে গেলে পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে।
এই দেশের জনগণ চায় নির্বাচন হোক অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিন্তু, বিরাজমান রাজনৈতিক বাস্তবতা অংশগ্রহণমূলক তথা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন জন্য অনুকূল নয়। কেননা, ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার জোটসাথীরা চায়, বর্তমান সংবিধানের আওতায় অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। অপর দিকে, ক্ষমতাপ্রত্যাশী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলো চায় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন।
ইতোমধ্যেই এই রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজপথ ততই উত্তপ্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। রাজপথে সংষর্ঘ ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
জনগন চায় রাজনৈতিক দলগুলো যদি অবিলম্বে তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করে বা তাদের মধ্যে যদি সমঝোতা না হয়, তবে সামনের দিনগুলোতে জাতিগতভাবে আমরা চরম সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হতে পারি, দেশ চলে যেতে পারে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে; যা করোই কাম্য নয়।
একটি অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও পারস্পরিক সমঝোতা। রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ – আলোচনার মধ্য দিয়েই সমঝোতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও সমঝোতাসূত্র নির্ধারণ করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক, সংগঠক ও সমাজকর্মী, চট্টগ্রাম।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন