‘দেশে কোনো ভিক্ষুক নেই’ বলে দাবি করে তুমুল বিতর্কের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন কিউবার শ্রম মন্ত্রী মার্তা এলেনা ফেইতো-কাব্রেরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এলেনা ফেইতো-কাব্রেরা বলেছিলেন, কিউবায় ‘ভিক্ষুক’ বলে কিছু নেই। আর যারা আবর্জনা খুঁজে বেড়ায়, তারা মূলত ‘সহজ অর্থ উপার্জনের জন্য’ স্বেচ্ছায় এমন করছে।
সম্প্রতি তিনি এমন বক্তব্য দেন দেশটির সংসদীয় অধিবেশনে।এরপরই তা দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। যার জেরে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল ডিয়াজ-ক্যানেলের প্রতিক্রিয়া আসে এবং অবিলম্বে তিনি পদত্যাগ করেন।
এদিকে এলেনা ফেইতো-কাব্রেরার ওই দাবির জবাবে কিউবার অর্থনীতিবিদ পেদ্রো মনরিয়াল এক্সে পোস্ট করেন, ‘তা হলে নিশ্চয়ই কিছু মানুষ ‘মন্ত্রী’ সেজেও বসে আছে!’
কিউবার একাধিক কর্মী ও বুদ্ধিজীবী এক চিঠিতে তার অপসারণ দাবি করেন এবং বলেন, এই মন্তব্য ‘কিউবান জনগণের প্রতি এক অপমান’।
কিউবা সরকার ভিক্ষুকের সংখ্যার কোনো সরকারি তথ্য প্রকাশ না করলেও, দেশের তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে তাদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া সবার চোখে স্পষ্ট।
কমিউনিস্ট শাসিত দ্বীপ দেশ কিউবা এখনো একটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। যার ফলে সেখানে দারিদ্র্য ও খাদ্য সংকট আরও বেড়েছে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন