শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা জনজীবন

শুক্রবার, মার্চ ৩১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। অধিকাংশ পরিবারের উপার্জন না বাড়ায় এই বাড়তি খরচ যেন গলার কাটা হয়ে পড়েছে। জীবনের সাথে লড়াই করে টিকে থাকার চেষ্টায় জীবনটা যেন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ছে। স্বাভাবিক কারণ ছাড়া মুনাফালোভী ও অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে মূল্যে বৃদ্ধির মাত্রা স্বাভাবিকের পর্যায় থেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এমতাবস্থায় দেশের অপামর জনসাধারণের সংসার চালানো যেন নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা হয়ে পড়েছে, তা অধিকাংশ পরিবারের সঙ্গে আলাপেই বুঝা যায়। সরকার কিংবা মালিক কি বুঝে কপালে দুঃখের ভাঁজের গল্প? আজ  দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বী দামের কাছে আর্তনাদ করছে অসহায় মানুষেরা শুধু খেয়ে পরে বাঁচার জন্য। কারণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সব থেকে বেশি কষ্টে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ ও প্রান্তিক মানুষগুলো। তবে মাথা পিছু আয় বেড়ে যাওয়ার গল্পের চেয়ে বেশি বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। যার ফলে আজ দরিদ্র পরিবারগুলো করুণ গল্পের কাহিনী পরিণত হয়েছে।

মাসের শেষে উপার্জিত টাকার সবটা চলে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজন মিটাতে। ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, গ্যাস, শাক-সবজিসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামকে আর আটকে রাখা যাচ্ছে না। যার একমাত্র কারণ বাজার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত নজরদারি নেই, নেই তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। ফলে দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের অসাধুতার পরিচয়। তারা বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে মূল্য বাড়িয়ে রাখছে। পণ্যের গায়ে পূর্বের মূল্য লেখা থাকলেও তা বিক্রি করছে বর্তমান মূল্যে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে একদিকে থমকে যাচ্ছে জনজীবন। অপরদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যবস্থার দেখা মিলছে না ফলে দিন দিন দাম লাফিয়ে লাফিয়ে পূর্বের দামের দ্বিগুণ হচ্ছে। এর কারণ কিছু অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী তাদের স্বার্থে মজুদকৃত পণ্য বাজারে ছাড়ছে না আরও অধিক মুনাফার লোভে। যা নিম্ন আয়ের লোকদের বিপাকে ফেলছে। কৃষকরাও দিশেহারা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের নাভিশ্বাস অবস্থা সাথে ন্যায্যমূল্য থেকেও বঞ্চিত। ক্রেতা আর বিক্রেতার মাঝে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে অসাধু আর মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের। একটি পরিবারের সুখ-শান্তিনির্ভর করে ঐ পরিবারের আয়-ব্যয়ের ওপর। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে গেলেই নেমে আসে অশান্তির ছায়া। যে হারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মধ্যবিত্তরাও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন