মস্কো, রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে নিজ দেশের নাগরিকদের নিষেধ করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার নাগরিকরা সেই রাজ্যগুলোর প্রশাসনের ‘শিকার’ হতে পারে বলে দাবি করেছে পুতিন প্রশাসন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই সতর্কতা জারি করেন। সংবাদ রয়টার্সের।
সতর্কতা জারি করে মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত বা সরকারি ভ্রমণে গুরুতর ঝুঁকি আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আপনাদের অনুরোধ করছি, এই ছুটির মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কিছু দেশে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকবেন।’
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা বলছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দুই দেশের বর্তমান সম্পর্ক ১৯৬২ সালের স্নায়ুযুদ্ধের চেয়েও খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে।’
অন্য দিকে, হয়রানি বা বন্দি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যুক্তরাষ্ট্রও নিজেদের নাগরিকদের রাশিয়ায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
এ দিকে, ইউক্রেনকে চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে এবং তারা রুশ বাহিনীকে পরাজিত করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ‘একগুঁয়ে পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার পোস্ট-সোভিয়েত স্বার্থকে উপেক্ষা করেছে। তারা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনকে নিজের প্রভাবশালী অঞ্চলে টানতে চেয়েছে এবং ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়াকে দুর্বল করার লক্ষ্যে একটি প্রক্সি যুদ্ধ বাঁধিয়েছে।’
সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলারের একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন। ধারণা করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগে যত দ্রুত সম্ভব এই সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করছেন বাইডেন।
তবে, ট্রাম্পের কিছু বক্তব্য ইউক্রেনের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ, নির্বাচনে জয়ী হয়ে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যুদ্ধ শেষ করবেন। তাই, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা না থাকলে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেন টিকে থাকতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সিএন/আলী
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন