শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ব্যবসায়-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসায়-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংক ও সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি এক্সচেঞ্জ হা্উসের প্রতিনিধিবৃন্দ, দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, সংস্কৃতি ও মিডিয়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য বিনিয়োগ বান্ধব সংস্কারের উপর একটি ওয়েবিনারের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। যেখানে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।  

অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সকলকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগে নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রবাসীদের বাংলাদেশে বেশী বেশী করে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রেমিট্যান্সের গুরুত্ব বর্ণনা করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করার ব্যাপারে একচেঞ্জ হাউসগুলোকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় সব দেশের ন্যায় বাংলাদেশও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, তা তুলে ধরেন। পরে তিনি সভায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচীর বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি সহজ ও বিনিয়োগ বান্ধব প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করেন।

সোনালী এক্সচেঞ্জের সিইও মহসিন কবির প্রচলিত বিনিয়োগের পাশাপাশি স্টক ও বন্ডে বিনিয়োগের সুবিধার উপর প্রবাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে সরকারী প্রণোদনার সুবিধা গ্রহণপূর্বক তিনি সকলকে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান।

কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা বাংলাদেশকে ব্যবসায়-বিনিয়োগের এক অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের ক্রম-বর্ধমান অর্থনীতি, দ্রুত বিকাশমান শিল্প ও সেবাখাত, তরুণ জনগোষ্ঠী, পরিশ্রমী ও মেধাবী শ্রমের সহজলভ্যতা, দ্র্রুত-প্রসারমান প্রযুক্তি-সামর্থ্যসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো উল্লেখ করে তিনি সবাইকে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করার আহ্বান জানান। অধিক ক্রয়-ক্ষমতা সম্পন্ন একটি উদীয়মান মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশকে তিনি একটি বড় সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবেও চিত্রিত করেন। ২০২৪ পরবর্তী বদলে যাওয়া বাংলাদেশ সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির গণতান্ত্রিক দেশে রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় সক্রিয় রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সিএন/আলী

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন