নিউইয়র্ক কাউন্সিল নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইসরায়েল বিরোধী শাহানা হানিফ। তিনি ব্রুকলিনের পার্ক স্লোপ, উইনসডর টেরেস এবং কেনসিংটন এলাকা অন্তর্ভুক্ত ৩৯তম জেলা প্রতিনিধিত্ব করেন।
মঙ্গলবার(২৪ জুন) রাতে ব্রুকলিনের পার্ক স্লোপে তাঁর বিজয় উদযাপিত হয়। প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি মধ্যপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী মায়া কর্নবার্গকে পরাজিত করেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনের পর অভিবাসী ও মুসলিম নারীদের প্রতি সন্দেহের আবহাওয়ায় শাহানা ২০২১ সালে প্রথম বাংলাদেশি ও মুসলিম নারী হিসেবে কাউন্সিলে প্রবেশ করেন। তার নেতৃত্ত্বে সাশ্রয়ী আবাসন, শ্রমিক অধিকার ও শিক্ষা খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে সমর্থকদের আস্থা অর্জন করেন।
তার এই পুনঃনির্বাচন নিউইয়র্কের বহুত্ববাদের ধারাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অভিবাসী ও সংখ্যালঘুদের জন্য নতুন আশা জাগিয়েছে।
শাহানা হানিফ তার ইহুদি প্রতিদ্বন্দ্বী মায়া কর্নবার্গকে পরাজিত করে তার আসনটি ধরে রাখেন। তিনি আগে থেকেই ইসরায়েল-বিরোধী কার্যকলাপে সক্রিয় ছিলেন।
যেমন সামাজিক মাধ্যমে ‘ইন্তিফাদা’র আহ্বান সম্বলিত পোস্ট শেয়ার করা এবং শহরের কাউন্সিলে ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আনা একটি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়া ইত্যাদি।
অপরদিকে, মায়া কর্নবার্গ, নিজেও একজন প্রগ্রেসিভ প্রার্থী ছিলেন, হানিফের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন এই যুক্তিতে যে হানিফ স্থানীয় ইস্যুগুলোর চেয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে বেশি মনোযোগী।
নির্বাচনে পরাজয়ের পর কর্নবার্গ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, ফলাফল আমাদের প্রত্যাশার মতো না হলেও, আমরা যেভাবে ইতিবাচক, ইস্যুভিত্তিক প্রচার চালিয়েছি, তাতে আমি অত্যন্ত গর্বিত।
শাহানা বলেন, ভাড়া কমানো, সার্বজনীন শিশু পরিচর্যা ও আমাদের পাড়া-মহল্লাকে বাসযোগ্য রাখাই আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ। আমি আগামী চার বছরে এ লক্ষ্য অর্জনে নিরলস লড়াই চালাবো।
প্রসঙ্গত, শাহানার বাবা মোহাম্মদ হানিফ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা। তার পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের চট্টগ্রামে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন