নিউইয়র্ক নগরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনের আগাম ভোট স্থানীয় সময় শনিবার শুরু হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি।
তিনি শহরের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জোহরান ডেমোক্রেটিক দল থেকে মনোনয়ন পেলেও তাকে অনেকে বহিরাগত বলেন।
গত জুনে নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনের জন্য ডেমোক্রেটিক দলের প্রাইমারিতে অ্যান্ড্রু কুমোর বিরুদ্ধে অভাবনীয় জয় পান রাজ্যের আইনসভার সদস্য জোহরান মামদানি।
জোহরান নিজেকে সমাজতান্ত্রিক বলে পরিচয় দেন, উঠে এসেছেন রাজনীতির অচেনা জগৎ থেকে। ৩৪ বছর বয়সী মামদানি যখন নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন, তখন তার শীর্ষপ্রার্থী হয়ে ওঠা অসম্ভব মনে হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে নিউইয়র্কের তরুণ ভোটারদের উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণে তার নির্বাচনী প্রচার দারুণ গতিশীল হয়ে ওঠে।
নির্বাচনী প্রচারে জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের ওপর জোর দিয়ে ভোটারদের মধ্যে সাড়া ফেলেন জোহরান।
রাজ্যের আইনসভায় কুইন্সের এই আইনপ্রণেতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে নিউইয়র্কের ২০ লাখ বাসিন্দার জন্য বাড়িভাড়া স্থির করে দেবেন।
এবারের নির্বাচনে আগাম ভোট শুরুর আগে সর্বশেষ চমক ছিল বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানো। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। সে সময় কারও প্রতি সমর্থন না জানালেও পরে জোহরানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোর পক্ষে নিজের সমর্থন জানান তিনি।
আজ শনিবার থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কবাসী আগাম ভোট দিতে পারবেন। মূল ভোট হবে ৪ নভেম্বর। নতুন মেয়র আগামী বছরের শুরুতে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
ভোট শুরুর আগে ২২ ও ২৩ অক্টোবর সর্বশেষ জরিপ হয়। সেখানে দেখা যায়, মামদানির পক্ষে সমর্থন ৪৭ শতাংশ। তিনি কুমোর চেয়ে ১৮ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ৭১ বছর বয়সী কার্টিস স্লিওয়ার পক্ষে রয়েছে ১৬ শতাংশ সমর্থন।



চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন