সিএন প্রতিবেদন: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের (৩৬) মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর জন্মস্থান মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। কুলাউড়া পৌর শহরের উত্তর মাগুরা এলাকার ‘নাঈমা নীড়’ নামে বাড়িটিতে এখন শুধু স্মৃতি আর নীরবতা।
দিদারুলকে স্থানীয়রা ‘রতন’ নামে চিনতেন। তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বছরখানেক আগে স্ত্রী, সন্তান ও মা–বাবাসহ দেশে বেড়াতে এসেছিলেন। দুই মাস ছিলেন পরিবার, তিনি ছিলেন মাত্র এক মাস।
দিদারুলের ফুফু তাহেরা বেগম জানান, দিদারুল ছিলেন এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বড়। তিনি পরিবারের সবচেয়ে হাসিখুশি ও দায়িত্ববান সদস্য ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে সবাই স্তব্ধ।
পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানান, দিদারুল লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন। কুলাউড়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০০৯ সালে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে পড়াশোনা শেষে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে চাকরি নেন। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে সন্তানসম্ভবা, তাঁদের আট ও ছয় বছর বয়সী দুই সন্তান রয়েছে।
নিউইয়র্কে সোমবার রাতে ম্যানহাটান পার্ক অ্যাভিনিউয়ের একটি ভবনে দায়িত্ব পালনকালে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে দিদারুলসহ চারজন নিহত হন। আহত হন আরও দুজন। হামলাকারী শেন ডেভন তামুরা (২৭) পরে নিজেই আত্মঘাতী হন।
দিদারুলের সাবেক শিক্ষক ও প্রতিবেশী আবু জাফর বলেন, “ছেলেটা ছোটবেলা থেকেই ভদ্র ও মেধাবী ছিল। তার মৃত্যুতে কুলাউড়ার সবাই শোকাহত।”
সিএন/এমটি
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন