নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নিজ বাসভবনে বাইরে বন্দুকধারীর গুলিতে মোদাসসার খন্দকার (৩৬) নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দিনগত রাত ১২টার পর নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের সাইপ্রেস হিলস সেকশনে তিনি নিহত হন।
জানা গেছে, কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বাড়ির কাছে মোদাসসারের মাথায় গুলি করা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীরা জানান, মোদাসসার সেখানে স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে থাকতেন। তিনি জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন।
এইদিকে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি সোসাইটির মধ্যে। অনেকেই নিজের জীবন ও ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মোহাম্মদ উদ্দিন নামে এক প্রতিবেশি বলেন, “এ ঘটনা আমার বাড়ির পাশেই ঘটেছে। আমি আমার ছোট বাচ্চাদের নিয়ে শঙ্কিত, তারা কিভাবে স্কুলে যাবে?”
তিনি বলেন, “মোদাসসার খন্দকার একজন ভালো মানুষ ছিলো। তার সাথে কারও শত্রুতাও ছিলো না। আমরা তাকে ভালোভাবেই চিনি। এ ঘটনা দুঃখজনক।”
কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট খায়রুল ইসলাম কুকন বলেন, “আমরা ব্রুকলিন এবং কুইন্সের সীমান্তে আছি। প্রতি সপ্তাহে আমাদের অনেক ব্যবসায়ের মালামাল ছিনতাই হয়। গত কয়েক সপ্তাহে এই এলাকায় আমি কয়েকটি গুলির শব্দ শুনেছি। আর আজকের ঘটনা আমাদের আরো শঙ্কিত করে তুলেছে। “
তিনি আরো বলেন,”শহরের রাস্তা থেকে এই বন্দুক অপসারণে কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে। এই বন্দুকগুলো নিউইয়র্কের নয়, এগুলো অন্যত্র থেকে আসে। কর্তৃপক্ষকে সেই পথ খুঁজে পেতে হবে এবং বন্দুক সহিংসতা রোধ করতে হবে।”
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত ব্যক্তি গাড়ি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
মূলত ফোরবেল স্ট্রিট এবং গ্লেনমোর অ্যাভিনিউয়ের কোণায় একটি মসজিদ এবং স্কুলসহ এই বাংলাদেশি পাড়াটি শিশুদের দ্বারা পরিপূর্ণ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে স্থানটিতে রয়েছে সারিবদ্ধ ক্যমেরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ অভিযুক্তকে আটক কঠিন কিছু নয়।
আইআই/সিএন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন