বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ‘ড্রিম লাইটার’

সোমবার, জুলাই ৫, ২০২১

প্রিন্ট করুন
Untitled 1 copy 1 1
Untitled 1 copy 1 1

প্রতিটি শিশুরই রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার অধিকার। রয়েছে বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার। কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউবা প্রকৌশলী। তবে অনেক সময় পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে শিশুদের সেই ইচ্ছা পুরণ হয় না। তারা ছিটকে যায় সমাজের মূল ধারা থেকে। ছিটকে পড়া, অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ইচ্ছা পুরণ করে তাদেরকে যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কাজটি করছে ‘ড্রিম লাইটার’ নামের একটি সংস্থা।

সংস্থাটি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় পরিচালনা করছে ‘ড্রিম লাইটার চাইল্ড হেভেন।’ তিন থেকে চার বছর বয়সী বাচ্চাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য ও পুরর্বাসনে কাজ করে ‘ড্রিম লাইটার চাইল্ড হেভেন।’ সাতক্ষীরায় দশটি স্কুল ও প্রায় ৬০০-৮০০ শিশু নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এটি। বাচ্চাদেরকে ছোটকাল থেকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য। সমাজের অবহেলিত শিশুকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়াই ড্রিম লাইটারের কাজ।

এভাবে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ‘ড্রিম লাইটার।’ সংস্থাটি মূলত শিশু আশ্রয়স্থল, দূর্যোগে ত্রাণ বিতরণ, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার ও আইনী সহায়তা, খাদ্য ও পুষ্টি, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে।

ড্রিম লাইটার

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সংস্থাটি স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম যেমন পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, সার্জিকাল গ্লাভস, ফেস কভার, অ্যালকোহল ওয়াইপস, অ্যালকোহল প্যাড, সু কভার বিতরণসহ জন সচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম কাজ শুরু করে ড্রিম লাইটার। পরে ২০১৩ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ শুরু করে এটি।

২০১৭ সালে আমেরিকার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে সংস্থাটির ফান্ডিং অফিসের যাত্রা শুরু হয়। এখানে সংস্থাটিতে কাজ করে ৩০-৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবক। ড্রিম লাইটারের প্রতিষ্ঠাতা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডিএম সবুজের জন্ম বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায়। তিনি ২০১৩ সালে পাড়ি দেন আমেরিকায়। পড়ালেখাও করেছেন সেখানে।

ডিএম সবুজ বলেন, ‘আমি নিজে গ্রাম থেকে উঠে এসেছি। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবহেলিত থেকে আমি বড় হয়েছি। আমাকে পথ দেখানোর কেউ ছিল না। তাই সমাজের অবহেলিত শিশুদেরকে পথ দেখানোর জন্য আমি ‘ড্রিম লাইটার’ প্রতিষ্ঠা করি। এখন গ্লোবালি কাজ করার চিন্তা রয়েছে আমাদের।’ ফান্ড সংগ্রহের জন্য সংস্থাটি বিভিন্ন সময় চ্যারিটি ইভেন্টের আয়োজন করে থাকে।

এছাড়া নিজেদের পরিচালিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আয় থেকেও ফান্ডি করে থাকে ড্রিম লাইটার। এগুলো হল- ‘ড্রিম লাইটার ট্রাভেল অ্যান্ড টুরস’, ‘ড্রিম লাইটার ইনস্যুরেন্স ব্রোকারেজ’, ‘ড্রিম লাইটার বিল্ডার্স’, ‘ড্রিম লাইটার শপ.কম’ এবং ‘ড্রিম লাইটার লজিস্টিকস সার্ভিসেস।’ ড্রিম লাইটার একটি ৫০১(সি)৩ অলাভজনক সংস্থা। এটি ইতিমধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালে এর কার্যক্রম প্রসারিত করেছে এবং বিশ্বের আরো ১৫ দরিদ্র দেশে এটি নিবন্ধন পাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

Views: 2

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন