বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

শিরোনাম

নেত্রকোনায় নেতৃত্ব সঙ্কটের প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনে

শুক্রবার, জুলাই ১১, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় দেড় বছর আগে নেত্রকোনা জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি। এখনো পর্যন্ত কমিটি না হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। অভিভাবক শূন্য থাকায় সময় মতো কার্যকর সিদ্ধান্তও নেওয়া যাচ্ছে না।

নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন হিসেবে পরিচিত যুবদলের কমিটি দ্রুত না হলে নেতৃত্ব সঙ্কটের প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।

সাংগঠনিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেত্রকোনা জেলা যুবদলের সর্বশেষ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। সে সময় মশিউর রহমানকে সভাপতি ও সাহাব উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাস খানেকের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুন রনিকে সহ-সভাপতি করে ১৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

যুবদলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কমিটির মেয়াদ থাকে দুই বছর। সেই হিসাবে ২০২০ সালে এ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এরপর থেকে অভিভাবক শূন্য আছে জেলা যুবদল। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় যুবদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। তৃণমূলের কর্মীরাও হতাশায় রয়েছেন।

তারা বলছেন, আগামী বছর সংসদ নির্বাচন হতে পারে; এমন সম্ভাবনা থেকে মাঠ পর্যায়ে দল গুছানোর জন্য দ্রুত কমিটি দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে। এরই মধ্যে কমিটি না থাকায় যে যার মতো করে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

সাবেক কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন, আমরা চাই গত ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে যারা মামলা-হামলা, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছি, যারা কর্মীদের আগলে রেখেছেন, তাদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা উচিত। ত্যাগী নেতাদের মধ্যে সাবেক সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন রনি সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করা হয়। অসংখ্য বার জেল খেটেছেন। এখনো ১৪টি মামলা চলমান রয়েছে।

কেন্দ্রের কাছে আমরা দাবি জানাই, জেলা যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে তার মতো এমন ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে একটি পরিচ্ছন্ন কমিটি গঠনের। তাহলে দল উজ্জীবিত হবে।

জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নিপীড়নের কারণে সম্মেলন আয়োজন করা কঠিন ছিল। আশা করছি, সব বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কেন্দ্র কমিটি ঘোষণা করবে।

জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, নেত্রকোনা কমিটি নিয়ে যাচাই-বাছাই হচ্ছে। আমাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে প্রায় ১৯ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। যারা বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন, দল ছেড়ে যাননি। ত্যাগ স্বীকার ও সুনামের সঙ্গে রাজনীতি করছেন। আশা করি, দ্রুত তাদেরকেই বেছে নিয়ে যে কোনো সময় কমিটি ঘোষণা করা হবে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন