কাউছার আহমেদ হিমেল, নোবিপ্রবিঃ
করোনায় ভয়াল থাবায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা । এতে করে নতুন করে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে সবুজ শ্যামলে ঘেরা উপকূলীয় অক্সফোর্ড খ্যাত নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারনে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।এতে করে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে হারিয়ে যায় স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো। শিক্ষা জীবনের সোনালি দিনগুলো হতে বঞ্চিত হয় ৬২০ দিনের ভালো লাগা,সুখ-দুংখ,পাওয়া-না পাওয়ার জটিল এক গানিতিক ছকের । বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী তৎপরতা ও ইউজিসির সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩০ জুন থেকে অনলাইনে ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
ফলশ্রুতিতে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্য দিয়ে ২০২১ সালের ১২ জুলাই অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা শুরুর মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো ইতিহাসের এক নজির সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।এর আগে ৩১ অক্টোবর থেকে হল খুলে দেওয়া হয়। এতে করে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পদচারণায় একটু একটু করে সতেজতা আসতে থাকে।
টিকা গ্রহণ ও সচেতনতার মধ্যদিয়ে শুভসূচনা করতে যাচ্ছে নোবিপ্রবি। একঝাঁক স্বপ্নবাজ আবারও শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা,আনন্দ বা বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে নতুন উদ্যমে নিয়োজিত হবে।আবারও দেখা হবে শিক্ষকবৃন্দ ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে। ক্যাম্পাসের চিরচেনা স্থানগুলোতে চা আর গানের আড্ডায় মুখরিত হয়ে উঠবে আবার দলবেঁধে লাইব্রেরিতে পড়াশোনায় মনোযোগ দিবে হাজারও তরুণ তরুণী। চিরচেনা শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে ফিরে আসবে নোবিপ্রবির ১০১ একরের ক্যাম্পাস।
দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে স্বশরীরে ক্লাস করতে পেরে আনন্দিত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ রিজুয়ান ফাহিম বলেন, ” দীর্ঘদিন পর সবার সাথে একসাথে ক্লাস করতে পারার আনন্দ বলে প্রকাশ করার মতো নয়। করোনা মহামারীর কারণে আমাদের একাডেমিক কার্যক্রমে যে ছন্দপতন হয়েছিল তা আবার ফিরে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
নোবিপ্রবির ১৫তম ব্যাচের ওশোনোগ্রাফী বিভাগের শিক্ষার্থী মো ফেরদৌস ইকবাল বলেন,” আমাদের মাত্র ২ মাস ১৭ দিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে স্বশরীরে ক্লাসের পর বন্ধ হয়ে যায় সব কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ফলে সত্যিকার অর্থে আমি খুব আনন্দ উপভোগ করছি পাশাপাশি আটকে থাকা পরীক্ষা গুলো নিয়ে সেশনজট থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টা কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে বলে ইকবাল আশাবাদ ব্যক্ত করেন।”
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো.দিদার-উল আলম চৌধুরী জানান যে, শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আসলে ক্যাম্পাস প্রাণ ফিরে পায়,আমি তাদের আগমনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি করোনা মহামারি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ রইল।
আরএইচ/ চলমান নিউইয়র্ক
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন