বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,নোবিপ্রবি: উৎসবমুখর পরিবেশে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় সাধারণ সম্পাদকের পদ শূন্য রেখেই অপূর্ণাঙ্গ নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে নির্বাচন। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা ৬ টায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস এম মাহবুবুর রহমান। এই নির্বাচনে ১১ টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে দুই দল নীল দল ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের মোট ২২ জন প্রার্থী।
নির্বাচনী ফলাফলে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন নীলদলের প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। সাধারণ সম্পাদক পদে নীলদলের ড. ফিরোজ আহমেদ ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের ড. আনোয়ারুল বাশার উভয়ই সমান ভোট পেয়েছেন। তাই সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়া বাকি ১০ জন নির্বাচিত সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
ফলে দুই প্যানেলের শিক্ষকদের মাঝে এক ধরনের উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুই প্রার্থীর ভোট সমান হয়েছে, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সংবিধানে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আইন না থাকায় পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক কিভাবে নির্বাচিত করবে এই সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গ্রহন করবে। নির্বাচন গ্রহনের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছি।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল বাশার বলেন, অপূর্ণাঙ্গ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারেন না। আমি আশা করছি সুষ্ঠু গণতন্ত্র রক্ষার্থে এই পদে পুনরায় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুর্নাঙ্গ কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
নীল দল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, “আমি চেষ্টা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নিজেকে সংযুক্ত রাখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আমার প্রতি আস্থা রেখেছে এজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দুই প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় নির্ধারণ হবে কিভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে আবার নির্বাচন হবে। আমি আশাবাদী পরবর্তী নির্বাচনেও শিক্ষকরা আমার প্রতি আস্থা রাখবে।
নির্বাচিত অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে নীল দল থেকে বিজিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু নছর মিয়া। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নীল দল থেকে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাদশা মিয়া। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হন নীল দল থেকে ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফাহাদ হুসাইন। প্রচার সম্পাদক পদে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ থেকে শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মোহম্মদ সিয়াম। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে নীল দল থেকে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মারুফ রহমান।
এছাড়াও নির্বাচনে ৪টি সদস্য পদে নির্বাচিত হন নীল দল থেকে শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিক, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মজনুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক ছারোয়ার উদ্দিন, এমআইএস বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ আবদুস সালাম।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করে কমিশন এবং ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা ও নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
আরএইচ/সিএন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন