বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

শিরোনাম

নোয়াখালীতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা

বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নোয়াখালীতে অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাত নাসিমা হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সভায় বলা হয়, আগামী ১০ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। চলমান দুর্যোগ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যালয়গুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা হবে।

এদিকে নোয়াখালীতে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জেলায় একদিনে পানি বেড়েছে ১৯ সেন্টিমিটার। পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।

অপরদিকে টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর সদর, কম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর উপজেলায় বেশি জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অনেকের বসতঘরে পানি ঢুকেছে। এই চারটি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর, রামপুর ও চর এলাহী ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী ও বামনী নদীর তীরবর্তী এলাকা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মুছারপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ সড়ক ডুবে গেছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অনেক বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে মানুষ।

এছাড়া জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। পাড়া-মহল্লায় বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নোয়াখালী পৌর শহরের বেশিরভাগ এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটু সমান পানি। বসতঘরেও পানি ঢুকে গেছে। ফলে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। চলতি বর্ষায় শহরের বেশিরভাগ সড়কে খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় সড়কগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জেলায় পানি বেড়েছে। টানা বৃষ্টিই পানি বাড়ার মূল কারণ। বৃষ্টি কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বুধবার রাতের বৃষ্টির ওপর পরিস্থিতি নির্ভর করবে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, জলাবদ্ধতা ও বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা মাঠে কাজ করছে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন