শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

পতন হলেও দাপট কমেনি আ.লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার

শুক্রবার, অক্টোবর ৩১, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগের পতন হলেও দাপট কমেনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড়উঠানের আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ফারুক, তার ছোটভাই মোহাম্মদ সোহেল ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ মঈনুদ্দিন খান মাসুমের।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপকর্মসহ এলাকার সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করতেন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ফারুক। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে যাওয়ার পরেও এখনো তার ছোটভাই বিএনপি আবদুল আউয়ালের দাপটে চলছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা যায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পুরো এলাকাবাসী। এরআগে রাজনৈতিক পরিচয়ে এলাকায় বিভিন্ন রকম অপকর্ম করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু অজানা কারণে তাদের কোনো বিচার হয়নি। সরকার পতনের পর থেকে রাজনৈতিক পরিচয় পাল্টে বিএনপি নেতার পরিচয়ে এখনো বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে এলাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা বলেন, ভয়ে কেউ কথা বলার সাহস করে না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে হামলার শিকার হতে হয়।এলাকায় গরু চুরি, কেইপিজেডের গাছ চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত এসব যুবক নিজেদের এখনও আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়। তাদের গ্রুপের এক সদস্য ইসমাইল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বড়উঠান ইউনিয়নের কেইপিজেড এলাকায় গাছ চুরি করে পালানোর সময় শিল্প পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মো. ইসমাইলের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ফারুকের ছোটভাই ইসমাইল তাদের সিন্ডিকেটের মূলহোতা, তারা এলাকায় বাড়ি নির্মাণ, জমি ক্রয়-বিক্রয়, এমনকি দোকান উদ্বোধনে টাকা দাবি করে। গাছ চুরির ঘটনায় ইসমাইল গ্রেপ্তারে এলাকায় স্বস্তি ফিরলেও জামিনে বের হয়ে আবারও তাণ্ডব চালাচ্ছে এলাকায়। গ্রামের মানুষ তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। স্থানীয়রা তাদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান।

নাঈম উদ্দিন নামে এক প্রবাসী জানান, কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ফারুক, তার ছোটভাই মোহাম্মদ সোহেল ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ মঈনুদ্দিন খান মাসুম ইসমাইলের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মুঠোফোনে ভয়েস পাঠানো হয়। পরবর্তীতে দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয় তাদের। বাকি টাকা দিতে দেরি হওয়ায় তারা আমার ঘর ভাঙচুর চালায়। এঘটনায় আমি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন