লিন্ডা ইয়াকারিনোর ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) থেকে সিইও পদত্যাগ অনেকটা সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র। ২০২৩ সালে এলন মাস্ক যখন তাকে আনার ঘোষণা দেন, অনেকেই ভেবেছিলেন প্রযুক্তিগত বিশৃঙ্খলার মাঝে একজন বিজ্ঞাপনমুখী নির্বাহীর আগমন প্ল্যাটফর্মে ভারসাম্য আনবে। এনবিসি ইউনিভার্সাল থেকে আসা ইয়াকারিনো বিপণন ও বিজ্ঞাপনী দুনিয়ায় অভিজ্ঞ, আর মাস্কের লক্ষ্য ছিল, আয় বাড়ানো ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডদের ফেরানো।
প্রথমদিকে কিছুটা সফলও হন তিনি। বড় বিজ্ঞাপনদাতারা ফিরে আসে, ‘X Money’ ও স্মার্ট টিভি অ্যাপ চালু হয়, প্ল্যাটফর্মে ‘কমিউনিটি নোটস’ চালুর মতো উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু সত্যিকার ক্ষমতা তার হাতে ছিল না।
মাস্ক ছিলেন প্রতিটি বড় সিদ্ধান্তের মূল চালক। এর মধ্যে এআই টুল ‘Grok’র মাধ্যমে অ্যান্টিসেমিটিক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়া, মাস্কের বিতর্কিত টুইট-সবকিছুই ইয়াকারিনোর ভাবমূর্তিকে চাপা দেয়। নিরাপত্তা, নীতিমালা ও বিজ্ঞাপন আস্থার প্রশ্নে মাস্কের সঙ্গে মতপার্থক্য বেড়ে যায়। ফলে তিনি কার্যত সীমিত ক্ষমতার একজন ‘ফিগারহেড’ নির্বাহীতে পরিণত হন। প্ল্যাটফর্মের এআইকেন্দ্রিক রূপান্তরে তার মতামত গুরুত্ব পায়নি। ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ইয়াকারিনো।
যদিও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ধন্যবাদ ও গর্বের কথা বলেছেন, বাস্তবে এটি ছিল দায়িত্ব ও নিয়ন্ত্রণহীন এক ভূমিকায় ক্লান্তির বহিঃপ্রকাশ। এ পদত্যাগ প্রশ্ন তোলে-এক্স কি আদৌ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসাবে এগোচ্ছে, নাকি এটি শুধু এলন মাস্কের একক পরীক্ষাগার? ইয়াকারিনোর বিদায় সেই জবাবের বড় ইঙ্গিত।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন